প্রথমত টাকা পয়সার হিসাব রাখুন: মাসের শেষ এ আপনার সব টাকা কোথায় যায় তা ভেবে কি আপনি অবাক হন? আপনি যদি আপনার বড়, ছোট -মাঝারি সব ধরনের খরচের একটি তালিকা সংরক্ষণ করুন, দেখবেন সমস্যা অনেকটা কমে গিয়েছে। বাজারে সহজে ব্যবহার করা যায় এমন বেশ কিছু অর্থ ব্যবস্থাপনার এপ পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে আপনি তৈরি করতে পারবেন বাজেট, রাখতে পারবেন অর্থ আগমন এবং নিরগমনের হিশাব।
দ্বিতীয়ত নিজেকে বাধ্য করুন সঞ্চয়ি হতে: যদি এতকিছুর পরও না পারেন সঞ্চয় করতে তবে এবার নিজেকে বাধ্য করুন। ব্যাংকে সঞ্চয়ি একাউন্ট খুলুন, ইনসিওরেন্স পলিসি করুন কিংবা আপনার কোম্পানিকে অনুমতি দিন প্রভিডেন্ট ফান্ড হিশেবে প্রতি মাশে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ কেটে নেয়ার। এভাবে আপনি সঞ্চয় করতে বাধ্য।
২) প্রবলেম সলভিং বা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
কাজের ক্ষেত্রে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি বা সমস্যা ঠিকভাবে সামাল দেবার সামর্থ্যকে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বলা হয়।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানোর উপায় কী?
# আপনার কাজের ফিল্ড নিয়ে যথাসম্ভব টেকনিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ান। সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া তাহলে অনেকাংশে সহজ হয়ে আসবে।
# যেকোন সমস্যাকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করুন। এর জন্য যে আপনাকে শুধু সমস্যা খুঁজে বেড়াতে হবে, তা কিন্তু নয়। কোন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করলেই দেখবেন কোন না কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার সমাধান করে ফেলুন!
#অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করবেন, সে সম্পর্কে নিয়মিত চিন্তা করুন। তেমন পরিস্থিতি বাস্তবে দেখা দিলে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে সমাধান নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন। তবে কাল্পনিক সমস্যা যেন আপনার দুশ্চিন্তার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
# অন্যরা কীভাবে সমস্যার সমাধান করেন, তা পর্যবেক্ষণ করুন। তিনি আপনার বস হতে পারেন, আবার হতে পারেন সহকর্মী।
৩) স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত অভ্যাস।
খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি-এই তিনটি শব্দ একটি আরেকটির সাথে জড়িত রয়েছে। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ মনের জন্য আমাদের প্রতিদিন পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে একজন ব্যক্তির জন্য সুষম খাদ্য নির্বাচন, খাদ্যের সহজলভ্যতা ও পুষ্টিমূল্য বজায় রেখে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির উপরও পুষ্টি অনেকটাই নির্ভর করে। আমাদের উচিত দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা।
৪) প্রাথমিক চিকিৎসা।
# দুর্ঘটনা কারও জীবনেই বলেকয়ে আসে না। আমাদের কে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়। এই প্রস্তুতির আরেক নাম হচ্ছে ফার্স্ট এইড কিট।
ফার্স্ট এইড কিটে যেগুলো রাখা উচিত,
# ৪ ইঞ্চি X ৪ ইঞ্চি গজ ব্যান্ডেজ, যে কোনো ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে।কেটে যাওয়া বা যে কোনো জায়গায় জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহৃত হয়।
# ব্যাকটিন স্প্রে বা ক্যালামাইন লোশন, এটি তাৎক্ষনিক ভাবে পোকার কামড়ে চুলকানো থেকে স্বস্তি দেবে।
# ২, ৩ এবং ৪ ইঞ্চি এইস ব্যান্ডেজ, মচকে গেলে বা কোথাও মাংসপেশিতে টান লাগলে এই ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়।
# ডাইফেনহাইড্রামিন ওষুধ, অ্যালার্জি কমাতে এই ওষুধ গ্রহণ করা যায়।
#পলিস্পরিন অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম, হালকা কেটেছড়ে যাওয়া জায়গায় লাগানো যাবে। সামান্য ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।
৫) পার্সোনাল গ্রুমিং
পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা,কোথাও ঘুরতে গেলে সুন্দর ভাবে পোশাক পরে যাওয়া,চুল বেশি বড় না করা,প্রোপার পোশাক পরিধান করা ইত্যাদি বিষয় কেই পার্সোনাল গ্রুমিং বলে।
৬) সাতার।
সাতার হলো জিবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়,ছোটো কাল থেকেই আমাদের সাতার শিখে নেওয়া উচিত কারন বিপদ কখনো বলে আসে না,তাই যদি সাতার না যেনে থাকেন তাহলে শিগ্রই সাতার শিখে নিন।
৭) গবেষনা করার দক্ষতা।
গবেষণা শুরু বা পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো একটি ভালো গবেষণা বিষয় নির্বাচন। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণা বিষয় নির্বাচন বা বিকাশ করার ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। স্বতন্ত্র কিংবা উচ্চশিক্ষায় কখনও কখনও একজন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচিত হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিষয় নির্বাচন প্রক্রিয়াটি একজন গবেষককে সম্পূর্ণ নিজ আগ্রহে ও দক্ষতায় সম্পন্ন করতে হয়।
৮) ড্রাইভিং স্কিল।
ড্রাইভিং আসলে একটি সব থেকে আলাদা জ্ঞান , সাধারন অর্থে মোটরযানকে চালানোর জন্যই ড্রাইভিং যন্ত্রচালিত যানকে চালাবেন যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে। ড্রাইভিং নয় যে কোন জিনিস প্রথমে অন্য রকম লাগে তেমনি ড্রাইভিং শিখতে অনেকের ভীতি কাজ করে যাই হোক ড্রাইভিং অন্য একটি মোটরযানকে নিয়মের মধ্যে নিজের দক্ষতায় চালিয়ে নেওয়াই ড্রাইভিং, আপনি কি চালাবেন?
গাড়ি? না মটর সাইকেল ? যা কিছুই চালান না কেন আপনাকে সেটি সম্পর্কে ভালো একটি ধারনা থাকা জরুরি কারন আপনি গাড়ি চালানো শিখবেন কিন্তু আপনি গাড়ি কি, গাড়ি কি চলে সেটি সম্পর্কে কোন ধারনাই না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে চালাবেন?
কি ভয় পেলেন? না ভয় পাবার কিছু নেই কিন্তু ধরুন আপনি একটি কম্পিউটার কিনবেন তো কম্পিউটার কি আপনি জানেন না তাহলে কিভাবে হল?
ঠিক তেমনি ড্রাইভিং সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকে কিছুটা জানা দরকার । ধরুন গারির চাকা , গারির তেল , ব্রেক কিভাবে হয়। ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি।
এছাড়া তেমন কিছু না তাহলে আপনার জন্য অনেক সহজ হবে
৯) ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত জ্ঞ্যান।
প্রতি অর্থ বছর শেষে যে আয়কর আপনাকে দিতে হচ্ছে বাংলাদেশে অনেকেই আছেন বেশ দক্ষতার সাথে সেটি সামাল দেন। কিন্তু বহু মানুষ আছেন যারা রীতিমতো হিমসিম খান। তথ্যের অভাবে ভুল করে থাকেন, নানা ঝামেলায় পরেন।যারা নতুন আয়কর দিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রেই এটি বেশি হয়ে থাকে তাই আমাদের ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত জ্ঞ্যান থাকা জরুরি।
১০) সৃজনশীল।
নতুন কিছু তৈরী করাই হলো উদ্ভাবন। যারা উদ্ভাবন করেন তারা উদ্ভাবনী সৃজনশীল। মানুষের প্রয়োজনের সাথে উদ্ভাবনী শক্তির এক সমন্বয় হলো উদ্ভাবনী সৃজনশীলতা। টমাস আলভা এডিসন চলচ্চিত্র আবিষ্কার করেন। এধরনের সৃজণশীলতা প্রথমে তৈরী হয় পরে মানুষের প্রয়োজনে এসবের অনুরুপী বা কপি তৈরী হয়। তবে কোনো ক্ষেত্রে এগুলোর উন্নত সংস্করণও সৃজণশীলতা হয়। যেমন আমরা দেখতে পাই মুঠোফোনের নানা পরিবর্তন ও উন্নয়ন।
1 comment