বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী উহান করোনাভাইরাস।সর্বপ্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয় চীনের উহান শহরে।এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে চীনসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে যে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে - তাতে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪শ লোক।ভাইরাসটি কোনো প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে এবং একজন মানুষ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াতে ছড়াতে আবার নিজের জিনগত গঠনে সবসময় পরিবর্তন আনছে যাকে বলে মিউটেশন। আশঙ্কা আছে এই ভাইরাস আর কিছুদিনের মধ্যে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিবে।কিন্তু এই ভাইরাসটির সঠিক কোথা থেকে আসছে এবং কিভাবে এটি রোধ করা যায় এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো জানার চেষ্টা করছেন।
করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে ছড়ায়?
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস - যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায় নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি হয়তো মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতিমধ্যেই গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে যার ফলে এটি আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।এই ভাইরাসটি অনেক দ্রুত ছড়াতে পারে এবং বিজ্ঞানীরা বলেছেন এটি একজন থেকে আরেকজনের শরীরে যেতে পারে।এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ সমূহ: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, জ্বর এবং কাশি।কিন্তু এর পরিণামে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু ঘটতে পারে।বিজ্ঞানীরা বলেছেন ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করার পাঁচ দিন পর লক্ষণ দেখানো শুরু করে, প্রথম লক্ষণ হল জ্বর এবং তারপর শুকনো কাশি।
উহান শহরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসে কমপক্ষে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মী নিজেরাই এতে আক্রান্ত হয়েছেন।
1 comment