আমাদের জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস পালিত হয় ১৬ ডিসেম্বর । এ দিনটি আমাদের রক্তে অভিযিক্ত। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই বাঙালির জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস লাল রক্তে রাঙানো। যেসব কীর্তিমান মানুষের আত্মত্যাগে এই বিজয় সম্ভব হয়েছিল, বিজয়ের দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘ নয় মাস ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়। যতদিন পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন এই দিনটির গুরুত্ব ও সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে। পৃথিবীর সব দেশের স্বাধীনতা দিবস থাকলেও বিজয় দিবস থাকে না।বাংলাদেশ সেই বিরাট সৌভাগ্যের অধিকারী দেশ, যেটি ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের পর রণাঙ্গনে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে। বাঙালি জাতির ইতিহাস লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস এবং রক্তক্ষয়ী ইতিহাস।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) লাখ লাখ মানুষের সমাবেশে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি জাতি।
অবশেষে বাঙালির দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়েই বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় নতুন স্বাধীন দেশ, "বাংলাদেশ"।
3 comments
🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗🤗