SkyIsTheLimit
Bookmark

ভাব সম্প্রসারন লেখার নিয়ম (বেশি নম্বরের জন্য)


ভাব-সম্প্রসারণ’ কথাটির অর্থ কবিতা অথবা গদ্যের অন্তনির্হিত তৎপযকে ব্যাখ্যা করা,বিস্তারিত করে লেখা এবং বিশ্লেষণ করা।ঐশ্বর্যমন্ডিত কোন কবিতার বা গদ্যাংশের সীমিত পরিসরে বীজধর্মী কোন বক্তব্য ব্যাপক ভাবব্যঞ্জনা লাভ করে । সে ভা্ব বীজটিকে উন্মোচিত করার কাজটিকে বলা হয় ভাব-সম্প্রাসারণ।

ভাব সম্প্রসারন লেখার নিয়ম
১. উদ্বৃত্ত অংশটি বারবার পরে বুঝে নিতে হবে।
২. যুক্তির উদাহরণ সহকারে অন্তর্নিহিত ভাবটি বিশদভাবে আলোচনা করতে হবে।
৩. বক্তব্য যাতে মূলভাব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪. এক কথার পুনরাবৃত্তি এবং বক্তব্য যাতে একঘেয়েমীপূর্ণ না হয় সে দিকে মনোযোগী হতে হবে।
৫. ভাব সম্প্রসারণ এর ভাষা হবে সহজ সরল ও আকর্ষণীয়। মূলভাব বোঝানোর জন্য সার্থক দৃষ্টান্ত থাকা দরকার।
৬. মূল অংশ অপেক্ষা ভাবের সম্প্রসারণ দীর্ঘতর হতে হবে।
৭. মূলভাব উপমা, রূপক, প্রতীক বা সংকেত এর আড়ালে আছে কিনা তা দেখে মূল তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
৮. ভাব সম্প্রসারণ এর সময় ভাবের সম্প্রসারণ বৃদ্ধি করতে হয় বলে বাহুল্য বর্জন করতে হবে অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় কথা কিংবা একই কথার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।

ভাব-সম্প্রসারন এর প্রয়োজনীয়তাঃ
১. কোন বিশেষ বক্তব্য থেকে সাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
২. কোন সংক্ষিপ্ত অর্থপূর্ণ বক্তব্যকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
৩. ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা চর্চার গুরুত্ব আছে তা অনুধাবন করা যায়।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
3 comments

3 comments

  • Masud Rana
    Masud Rana
    14 January, 2020
    গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট!
    • Masud Rana
      Kowshik
      14 January, 2020
      ধন্যবাদ!
    Reply