SkyIsTheLimit
Bookmark

নিজের প্রতিভা কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে আয়ের উৎস বানানো যায়?


পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের অনেকেরই অনেক রকমের প্রতিভা থেকে থাকে। হতে পারে সেটা ভালো লিখতে পারা, ভালো আঁকতে পারা, ভালো ডিজাইন করতে পারা বা কোনো সফটওয়্যারে বিশেষ পারদর্শিতা, কিংবা ভালো বোঝাতে পারার সক্ষমতা। কিন্তু এই প্রতিভাগুলো দিয়ে আমরা ঠিক কী করবো সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি আমরা প্রায়সময়ই।

এই প্রতিভাগুলো কী করে আয়ের উৎসে রূপান্তর করা যায় সেটা নিয়েই আলোচনা করবো এখন,

কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শিতা আমাদের সবারই আছে। সেটা খুঁজে বের করাটা জরুরি সবার আগে। এরপর জানা জরুরি সেটা থেকে কি উপার্জন করা সম্ভব? যদি হ্যাঁ হয় তাহলে জানতে হবে শুরুটা কীভাবে হবে? শুরু করার পরের ধাপ হলো উপারজনটা হবে কীভাবে সেটা জানা! এরপর তৈরি করতে হবে নিজস্ব ব্র্যান্ড, জানতে হবে কীভাবে সে ব্র্যান্ডটাকে আরো উন্নত করা যায় সে সংক্রান্ত কৌশল এবং সবশেষে খুঁজে বের করতে হবে কাদের কাদের সাথে পার্টনারশীপ করা যায় এবং কীভাবে।

শখ যখন লেখালেখি- 

তোমরা যারা লেখালিখি করতে আগ্রহী তারা ব্লগ লেখা শুরু করতে পারো। উপার্জনের জন্যে লেখালিখি হতে পারে বেশ ভালো মাধ্যম। প্রশ্ন আসতেই পারে, ব্লগ লিখে টাকা আসবে কী করে? ব্লগগুলোকে একসাথে করে প্রকাশ করতে পারো বই। সেখান থেকে অর্থ উপার্জিত হবে। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হবে। নতুন লেখকদের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হতে একটু সময় লাগে। সেটা তৈরি হয়ে গেলেই হলো। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ব্লগসাইটেও লিখতে পারো। সেখান থেকেও অর্থ উপার্জন সম্ভব।

ভিডিও এডিটিং এর রয়েছে অনেক সম্ভাবনা-

আমরা অনেকেই বন্ধু-বান্ধবের জন্মদিনে অনেকগুলো ছবি কোলাজ করে কিংবা চমৎকার সব ভিডিও বানিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি। কেমন হয় এই ভিডিও বানানো আর এডিট করার কাজটাই কোনো এজেন্সীর জন্যে করে দেওয়া যায়? কোনো এজেন্সীর পরিচিত কারোর সূত্র ধরে যদি তাদের নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠা যায় তাহলে প্রতিনিয়ত আসবে নতুন নতুন কাজ আর বাড়বে উপার্জনের সম্ভাবনা।

মহান পেশার মাহাত্ম্য-

বোঝাই যাচ্ছে বলা হচ্ছে শিক্ষকতা অর্থাৎ পড়াতে বা বোঝাতে পারার দক্ষতার কথা। তোমারা যারা একাডেমিক্যালি ভালো স্টুডেন্ট আছো এবং একই সাথে সুন্দর করে বোঝাতে পারো তাদের জন্য টিউশন হতে পারে অনেক ভালো একটি আয়ের উৎস। তাই, যারা টিউশনে আগ্রহী তারা আজই বানিয়ে ফেলো পোস্টার, সেঁটে দাও এলাকার দেয়ালগুলোয়, টিউশন পাওয়াটা সময়ের ব্যাপার। আর এক্ষেত্রে ব্র্যান্ডিং এর জন্যে তোমাকে সাহায্য করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তোমার পড়ানোর ভিডিও কিংবা নিজের লেখা নোটগুলো আপলোড করো ফেসবুক, ইউটিউবে; প্রচার তো পাবেই সেই সাথে মিলবে টিউশনের প্রস্তাবও।

শেখানোও হতে পারে উপার্জনের মাধ্যম-

আমাদের অনেকেরই অনেক সফটওয়্যার বা কোনো সফট স্কিলসে বিশেষ পারদর্শিতা আছে। নিজের এই দক্ষতাগুলো অন্যদেরকে শেখানোও কিন্তু হতে পারে আয়ের মাধ্যম। যারা সফটওয়্যারে বিশেষ পারদর্শিতা রাখো তারা নিজেদের কাজের ভিডিও করে আপলোড করে দাও ইউটিউবে। সেখান থেকে মিলবে পরিচিতি। এরপর নিজের এলাকায় নেওয়া শুরু করতে পারো ওয়ার্কশপ। ধীরে ধীরে নিজের বিস্তৃতি বাড়াও। দেখবে সেখান থেকেও আস্তে আস্তে উপার্জনের শুরু হয়ে যাবে।

ডিজিটাল কনসালটেন্সিতেও রয়েছে অনেক সুযোগ- 

ডিজিটাল কনসালটেন্সি অনেকটা ফ্রি-ল্যান্সিং এর মতো। বিভিন্ন কোম্পানীর জন্যে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দেওয়া, যেমন- একটা কোম্পানী সেটার পণ্যের প্রচারণা চালাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সেটা কোন মাধ্যমের ক্ষেত্রে কীভাবে চালাবে সেটা গুছিয়ে দেওয়াটা এক ধরণের ডিজিটাল কনসালটেন্সি। তোমরা যদি কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফিচারগুলোর কাজ সম্পর্কে বিশদ ধারণা রাখো তাহলে ডিজিটাল কনসালটেন্সি হতে পারে তোমার আয়ের উৎস।

শখ নাকি আঁকিবুঁকি-

আঁকাআঁকি করাটা আমাদের অনেকের খুবই প্রিয় একটা শখ। হাতে-কলমের আঁকাআঁকিটাই যখন ডিজিট্যালি কোনো সফটওয়্যারে করা হয় তখন সেটার চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুনে। এসব ডিজাইনিং এর কাজের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে এখন। বিভিন্ন অ্যাপ, বুক কভার, প্রেজেন্টেশনের মতো বিষয়বস্তু যখন ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের মতো সফটওয়্যার দিয়ে করতে পারা যায় তাহলেই কিন্তু সম্ভব এই আঁকাআঁকি করে উপার্জন করা। এসব ক্ষেত্রে আঁকার অর্থাৎ ডিজাইনের লেভেলের ওপর নির্ভর করে পারিশ্রমিকের পরিমাণ।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment