বিশ্বায়নের নেতিবাচক সম্ভাবনা
Globalization বা বিশ্বায়ন নয়া ঔপনিবেশিকতাবাদের একটি প্রক্রিয়া বা অর্থনৈতিক কৌশল। উপনিবেশবাদের যুগ শেষ হলেও এখন জলছে বিশ্ব নয়া উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যবাদের লগ্নি পুঁজি যুগ। সেদিনকার সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আজ আর সৈন্যসামন্ত নিয়ে দেশ দখল করে শাসন ও শােষণ করে না। এখন তারা পুঁজি লগ্নির মাধ্যমে চালায় প্রত্যক্ষ শােষণ ও পরােক্ষ শাসন। বিশ্বায়ন তৃতীয় বিশ্বের জন্য এই শােষণেরই ধারক ও বাহক। তাই বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া থেকে তৃতীয় বিশ্বের প্রাপ্তির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, অথচ হারাবার ভয় ব্যাপক। পুঁজিবাদের বিশ্বায়নের বা Globalization এর মােড়কে নব্য সাম্রাজ্যবাদই তাদের ওপর অগাধ রাজত্ব করে যাচ্ছে এবং উন্নত দেশের উৎপাদিত দ্রব্যের ভােক্তা শ্রেণিতে পরিণত করে চলেছে। ফলে অনুন্নত দেশের কলকারখানাগুলাে অবাধ প্রতিযােগিতায় টিকে থাকতে না পারায় তা দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মােকাবিলা করতে না পারলে অনুন্নত দেশগুলাের ভবিষ্যৎ হবে আরাে অন্ধকার। বিশ্বায়নের প্রভাবে অনুন্নত দেশের শিল্প ধ্বংস হতে বাধ্য। কেননা বিদেশী পণ্যের সাথে প্রতিযােগিতায় দেশীয় পণ্য টিকে থাকতে পারবে না। বিশ্বব্যাংকের দেয়া কাঠামােগত সংস্কার নীতি বাস্তাবায়নেও এসব দেশ আরাে বেশি সমস্যায় পতিত হবে বলেই অভিজ্ঞ মহলের বিশ্বাস। সুতরাং বলা যায় বিশ্বায়নে অবাধ প্রতিযােগিতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলাের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন।সংক্ষেপে বিশ্বায়নের নেতিবাচক সম্ভাবনা সমূহ হলােঃ
১. ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে অনেক ক্ষেত্রে তথ্যের গােপনীয়তা থাকছে না অর্থাৎ তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে।
২. সাইবার আক্রমণ বাড়ছে।
৩. ই-কমার্স হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
৪. ইন্টারনেটের ফলে সবকিছু সহজলভ্য হওয়ায় যুব সমাজে সামাজিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
৫. সবল ও দুর্বলের ব্যবধান বাড়ছে।
৬. ডিজিটাল ডিভাইড দ্রুত বাড়ছে ও অদক্ষরা কর্ম হারাচ্ছে।
৭. বিশ্বায়নের অবাধ প্রতিযােগিতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলাের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন।
Post a Comment