SkyIsTheLimit
Bookmark

বিশ্বায়নের ইতিবাচক সম্ভাবনা


বিশ্বায়ন মানবজাতির প্রয়ােজনেই উদ্ভূত এক ব্যাপকভিত্তিক প্রত্যয়। কালের বিবর্তনে মানুষের রুচি মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, মানুষের চাহিদা ও ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুলভাবে। আর এ চাহিদা পূরণ কোন এক ক্ষুদ্র জনসমাজের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলােয় যেখানে সম্পদের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি তাদেরকে বাধ্য হয়েই বিশ্বায়নে অঙ্গীভূত হতে হচ্ছে। তা ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত কলাকৌশল ও প্রযুক্তির বিকাশ ঘটিয়ে এসব দেশও তাদের সহযােগী ভাবতে পারছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক পরিবহন ও যােগাযােগ ব্যয়, হ্রাস, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পুঁজির প্রবাহ ব্যাপক হয়েছে। তাই এ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় উনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দী এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলাের জন্য বিশ্বায়ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এর প্রমাণ, গত চার দশকে এশিয় দেশগুলাে বিশ্ব বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি করে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

সংক্ষেপে বিশ্বায়নের ইতিবাচক সম্ভাবনা সমূহ হলােঃ
১. যেকোনাে স্থানের সাথে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর যােগাযােগ সম্ভব হয়।
২. কম খরচে বিশ্বের যেকোন প্রান্তের লােকের সাথে যােগাযােগ করা সম্ভব।
৩. মনুষ্য শক্তির অপচয় রােধ, কাজের দক্ষতা ও গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪. ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে এবং লেনদেন সহজতর হচ্ছে।
৫. শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাগ্রহণ ও প্রদান সহজতর হয়েছে এবং বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল সহজে জানা যাচ্ছে।
৬. মানুষের স্বাস্থ্য ও উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়া সহজতর হয়েছে।
৭. মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সকল ব্যবস্থাপনার খরচ কমে আসছে।
৮. জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
৯. আউটসোসিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাচ্ছে।
১০. যেকোন তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া সম্ভব।
১১. অন লাইন লাইব্রেরি, অন লাইন ইউনিভার্সিটি, ই-বুক, অনলাইন পেপার প্রভৃতি সুবিধা ভােগ করা যাচ্ছে।
১২. সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয় এসেছে।

বিশ্বায়নের নেতিবাচক সম্ভাবনা দেখে নিন এখানে

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment