ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যেখানে ব্যবহারকারী ওই পরিবেশে মগ্ন হতে বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবনানুভুতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রকৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। একে সংক্ষেপে VR বলা হয়ে থাকে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। এতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : Vizard, VRToolKit, 3D Studio Max, Maya ইত্যাদি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব হয়।
উদাহরণ :
নামকরা একটি স্কুলের ভুগলের শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে পড়াচ্ছেন।তিনি মুখে সুন্দর ভাবে লেকচার দিয়ে বুঝাতে চাচ্ছেন কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আকর্ষিত করে মনোযোগী করতে পারছেন না। ১০ মিনিট পর মোহাম্মদ উল্লাহ স্যার স্টুডেন্ট দের কে নিয়ে কম্পিউটার ল্যাবে আসলেন।ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট সবাইকে মাথায় বিশেষ হেলমেট এবং হাতে বিশেষ গ্লোবস ও পায়ে বিশেষ যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ জুতো পরিয়ে দিলেন। ছাত্ররা প্রত্যেকে দেখল তারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এসেছে। সামনে বিশাল সমুদ্র বিশাল বিশাল ঢেউ এসে তীরে আছড়ে পড়ার শব্দ। সমুদ্রের তর্জন গর্জন। কোন কোন ছাত্র সমুদ্রের পানির দিকে এগোলো। আস্তে আস্তে পানিতে নেমে পড়লো কেউ কেউ। পায়ে পানির ঠাণ্ডা অনুভূতি পাচ্ছে তারা। কেউ নিচু হয়ে হাত দিয়ে পানি স্পর্শ করলে ঠান্ডা পানির স্পর্শ অনুভব করল। এই তো কিছুক্ষণ আগে তারা ক্লাসে যা পরলো এখন তা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সবাই তা অনুভব করছে।এভাবে ১৫ মিনিটের মতো তারা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্র সৈকতে বিচরণ করে বাস্তবে অনেক কিছু দেখতে থাকলো। এক সময় সবকিছু অন্ধকার। কম্পিউটার ল্যাবের অ্যাসিস্ট্যান্ট তাদের সবার হেলমেট খুলে দিলেন। ছাত্ররা তনময় হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকল। এও কি সম্ভব! তারা স্বপ্ন দেখছি নাতো? ক্লাসের অমনোযোগী ছাত্র ছাত্রীরাও একই রকম তনময় হয়ে বসেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সবার ঘোর কাটল। মোহাম্মদ উল্লাহ স্যার মুচকি হেসে ছাত্র-ছাত্রীদের কে প্রশ্ন করলেন, কি তোমরা কোথায় গিয়েছিলে? সবাই জবাব দিল, কক্সবাজার স্যার
Post a Comment