সোনালী আঁশ অনুচ্ছেদ রচনা
Fatin Tawsif Hoque
... min to read
Listen
পাট এক প্রকার আঁশ। পাটের চারা থেকে এ আঁশ পাওয়া যায়। বিশ্ব বাজারে এর যথেষ্ট চাহিদা আছে। বাংলাদেশ পাটের দেশ। প্রতি বছর সে একটি বৃহৎ পরিমাণ পাট উৎপাদন করে। অন্যান্য দেশে পাট বিক্রি করে স্বর্থের মত আমরা অর্থ উপার্জন করি। এ কারণে একে বাংলাদেশের সােনালী আঁশ বলা হয়। পাট গাছ একটি পত্র ও আশযুক্ত গাছ। এটা আট থেকে বার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এটা দেখতে সবুজ। বসন্ত কাল হলাে পাট চাষের সর্বোৎকৃষ্ট সময়। সচরাচর মার্চ এবং এপ্রিল মাসে এটি চাষ করা হয়। গাছগুলো থেকে আঁশ ছাড়িয়ে ফেলার একটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে পরিপক্ক পাট গাছগুলাে কাটা হয়। তারপর সেগুলােকে আটিতে বাধা হয় এবং পানিত ডুবিয়ে রাখা হয়। যখন গাছগুলাে পচে যায়, তখন পাঠ গাছগুলাে থেকে আশগুলাে পৃথক করা হয়। আঁশগুলাে পরিচ্ছন্নভাবে ধােয়া হয় এবং রােধে শুকানাে হয়। এরপর পাটের আঁটিগুলাে বাজারে বিক্রি করা হয়। পাট বাংলাদেশের একটি মূল্যবান সম্পদ। এটি আমাদের দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে যারপরনাই অবদান রাখে। পাট রপ্তানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। অনেক জিনিস যেমন: গুনচট, ব্যাগ, মাদুর, ব্রাশ, পােশাক-পরিচ্ছদ এবং গালিচা প্রভৃতি পাট থেকে তৈরি করা হয়। যা-হােক, পাট খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি দেয়া উচিত। সরকার কর্তৃক পাট উৎপাদনে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবস্থা করতে হবে।
3 comments