মূলভাব : প্রয়ােজন থেকেই সবকিছুর উদ্ভাবন ঘটে। প্রয়ােজন না থাকলে মানুষের ভাবনাও থাকে না, তখন বিনা প্রয়ােজনে কোনাে কিছু করার আগ্রহও থাকে না। তাই কোনাে কিছু সৃষ্টির প্রারম্ভে যে বিষয়টি বিবেচ্য তা হচ্ছে প্রয়ােজন।
সম্প্রসারিত ভাব : সৃষ্টিলগ্ন থেকে মানুষ নিজের প্রয়ােজনে নিত্যনতুন বিষয় আবিষ্কার করেছে। আজকের দিনে বিজ্ঞানের যে চরম উৎকর্ষ তা প্রয়ােজনীয়তার কারণেই হয়েছে। পেটে ক্ষুধা থাকলে মানুষ নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে যে কোনাে কাজ করতে প্রস্তুত থাকে। সভ্যতার ধারাবাহিকতায় মানুষ শুধু শীর্ষে উঠে যাচ্ছে। একটা কিছু পেলে আরেকটা কিছু পাওয়ার প্রয়ােজনীয়তা থেকে মানুষ উদ্ভাবনের ধারাবাহিকতায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাস্তবে প্রয়ােজন না থাকলে হয়তাে আজকের সভ্যতার এত উৎকর্ষ হতাে না, হতাে না নিত্যনতুন উদ্ভাবন। জীবনের বহুমুখী চাহিদা মানুষকে প্রয়ােজনীয়তামুখী করেছে। এ চাহিদা পূরণেই মানুষ উদ্ভাবনের দিকে ধাবিত হয়। এসব কারণেই প্রয়ােজনীয়তাকে উদ্ভাবনের জনক বলা হয়।
মন্তব্য : মানুষের প্রয়ােজনীয়তা অসীম। একটি প্রয়ােজন মিটে গেলেই আর একটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই মানুষ নিত্যনতুন উদ্ভাবনের নেশায় চালিয়ে যাচ্ছে নিরলস প্রচেষ্টা।
Post a Comment