মূলভাব : স্পষ্টভাষী শত্রু প্রতিপক্ষের দোষত্রুটি উন্মােচন করে | প্রতিপক্ষকে শােধরানাের সুযােগ করে দেয়। অন্যদিকে নির্বাক মিত্র বন্ধুর ভুলত্রুটি না ধরে বন্ধুকে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখে। সুতরাং চূড়ান্ত বিচারে নির্বাক বন্ধুর চেয়ে স্পষ্টভাষী শত্রু উত্তম।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের জীবনচলার পথে বন্ধু প্রয়ােজন হয়। জীবনচলার পথে না চাইলেও মানুষের শত্রু সৃষ্টি হয়। বন্ধু এবং শত্রুর বৃত্তের ভেতরেই মানুষকে তার জীবনপথে চলতে হয়। তবে কে যে আসল বন্ধু আর কে শত্রু, সে সম্পর্কে বাছবিচার করে মানুষকে পথ চলতে হয়। শত্রু-মিত্র সম্পর্কে বাছবিচার যদি সঠিক না হয় তাহলে মানুষকে ভােগান্তিতে পড়তে হয়। সাধারণ বিচারে মানুষের কাছে শত্রু কাম্য নয় বরং বন্ধু পরম আকাঙ্ক্ষার ধন। কিন্তু শত্রু যদি স্পষ্টভাষী হয় তাহলে দেখা যায় সে শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালাে। কেননা নির্বাক মিত্র মানুষের দোষত্রুটি সম্পর্কে মন্তব্য না করে সুবিধাভােগী চরিত্রের ভূমিকা পালন করে প্রকৃতপক্ষে মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যেই রাখে । অন্যদিকে স্পষ্টভাষী শত্রু মানুষের দোষত্রুটিগুলাে তুলে ধরে প্রকৃতপক্ষে উপকার করে। স্পষ্টভাষী শত্রুর এ ধরনের ভূমিকার কারণে মানুষ নিজেকে শুধরিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার সুযােগ লাভ করতে পারে।
মন্তব্য : জীবনের উপকারে না আসলে কোনাে সম্পর্কেরই যথার্থ মূল্যায়ন হয় না। স্পষ্টভাষী শত্রুর দ্বারা মানুষের উপকার হয় বলে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালাে ।
Post a Comment