SkyIsTheLimit
Bookmark

স্বদেশের উপকারে নেই যার মন, কে বলে মানুষ তারে? পশু সেইজন ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : স্বদেশ ও স্বজাতির উপকার সাধনে যে দ্বিধাগ্রস্ত, দেশের কল্যাণে যে নিবেদিতপ্রাণ নয়, দেশ ও জাতির মহাবিপর্যয়ে যার প্রাণ কাঁদে না, সে বিবেকবর্জিত অমানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশপ্রেমহীন ব্যক্তি পশুর সমতুল্য। 
সম্প্রসারিত ভাব : আমরা যে দেশে জন্মেছি, দেশের আলাে-বাতাসে বেড়ে উঠেছি, সে দেশের প্রতি আমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, দেশেরও রয়েছে আমাদের প্রতি দাবী । সে দাবি হচ্ছে দেশকে ভালােবাসা, দেশের কল্যাণে ব্রত হওয়া। দেশপ্রেম মানবচরিত্রের মহত্তম গুণ। দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। স্বদেশের উপকার ও কল্যাণের প্রতি যার দায়িত্ববােধ নেই, দেশের সমূহ অকল্যাণ দেখেও যার হৃদয় ব্যথিত হয়ে ওঠে না, সে সত্যিকার মানুষ হতে পারে না। সেই বিবেকহীন ব্যক্তি ও পশুর মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। যারা নিবেদিতচিত্তে দেশকে ভালােবাসে এবং দেশ ও জাতির উপকারে আত্মােৎসর্গ করে প্রকৃতপক্ষে তারাই মানুষ তারাই দেশপ্রেমিক। সত্যিকার দেশপ্রেমিক দেশের মানুষ, মাটি, জল ইত্যাদি নিয়ে ভাবে এবং এদের উপকার সাধনে সে দৃঢ়সংকল্প। কিন্তু যারা আত্মকেন্দ্রিক, আত্মভাবনায় সবসময় বিভাের, স্বদেশের কল্যাণ চিন্তা যাদের স্পর্শ করে না তারা মানুষ নামের কলঙ্ক। দেশপ্রেমহীন বিবেকবুদ্ধিবর্জিত এ মানুষগুলাে পশুতুল্য। পশুর যেমন থাকা-খাওয়ার মতাে আত্মভাবনা ছাড়া আর কোনাে চিন্তা নেই, অপরের ভালাে-মন্দের প্রতি কোনাে দৃষ্টি নেই, ঠিক তেমনই হচ্ছে এ মানুষগুলােরও অবস্থা। তাই দেশপ্রেমহীন মানুষ পশুর নামান্তর। 
মন্তব্য : দেশের উপকারে যিনি নিবেদিতপ্রাণ, তিনিই প্রকৃতপক্ষে মানুষ। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি দেশপ্রেমহীন আত্মকেন্দ্রিক সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে পশুর সমান। 

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment