সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলতে দেশীয় সংস্কৃতির উপর বিদেশী সংস্কৃতির কু-প্রভাবকে বুঝায়। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে দেশীয় সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিদেশী প্রভাবকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা যায় না কিন্তু স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলাের মাধ্যমে সম্প্রচার করা অশ্লীল দৃশ্য অথবা চলচ্চিত্র অথবা নাটক অথবা অন্য যে কোন ধরনের অনুষ্ঠানসূচিকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন হিসেবে সজ্ঞায়িত করা হয়। প্রকৃতিগতভাবে ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে বয়স, এমন ছেলে-মেয়েরা কল্পনাপ্রবণ। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। কমবয়সী ছেলে-মেয়েরা জিন্স প্যান্ট এবং জামা পরিধান করতে পছন্দ করে এবং বেশি পছন্দ করে পাশ্চাত্য সংগীত যা বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। যা-হােক, এটা চলার অনুমতি দেয়া উচিত হবে না। শিক্ষিত লােকদের এবং সরকারের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করা কর্তব্য এবং দায়িত্ব। এ উদ্দেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কু-প্রভাবগুলাে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা যেতে পারে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে জাতিকে রক্ষা করতে সরকারের স্যাটেলাইট সম্প্রচার বন্ধ করা উচিত।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অনুচ্ছেদ রচনা
Sraboni
... min to read
Listen
Post a Comment