সুচনা: বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলা হয়। প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। তাদের মধ্যে এক ধরনের ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটা প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশে দেখা দেয়। এটা জনসাধারণের জীবন এবং সম্পত্তির অবর্ণনীয় ক্ষতি করে।
ফলাফলঃ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অবর্ণনীয়। ঘর-বাড়ি এবং শসা নষ্ট গাছপালা উপরে যায়। জেলেদের শত শত নৌকা উল্টে যায়। সেতু এবং ওয়যারলেস টাওয়ারগুলাে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সাধারণ মানুষের ভােগান্তির সীমা থাকে না। মানুষ দিনের পর দিন খাদ্যহীন এবং আশ্রয়হীন থাকে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাধি যেমন-কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি ক্ষত্রিস্থ এলাকাগুলােতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বত্র খাদ্য, বস্ত্র বা পাণীয় জলের অভাব দেখা যায়।
ত্রাণ কার্যক্রম: এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়ার পরে ত্রাণ কার্যক্রম অবশাদ্তাবী হয়ে গড়ে। তাই তাে বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্যোগের সময় ক্ষত্মিস্থদেরকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে। তারা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে অর্থ, খাদ্য, কাপড়-চোপড়, ওষুধ প্রভৃতি বিতরণ করে। মাঝে মাঝে চিকিৎসক দলকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে কাজ করতে দেখা যায়।
প্রতিরােধ: যদিও এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারি। সুতরাং, প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। গণমাধ্যমগুলাে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অধিকন্তু, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারেরও কিছু স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পণা গ্রহণ করা উচিত।
উপকারিতা: প্রচুর অপকারিতা থাকা সত্ত্বেও, এর কিছুটা উপকারিতা রয়েছে। পানি নােংরা জিনিস ভাসিয়ে নিয়ে যায়। পানি প্রচুর পরিমাণ পলি বহণ করে আনে যা ভূমি উর্বর করে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরােধ করতে পারি না। কিন্তু, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ পরবর্তী যথাযথ ব্যবস্থাপনা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে।
Post a Comment