সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ সামাজিক জীব। অন্য দশজনের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করাই তার ধর্ম। এই মিলেমিশে বসবাসের সূত্রে তারা পরস্পরের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ভাগাভাগি করে উপভােগ করে। তারা একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসে, সুখে আত্মহারা হয়; আবার দুঃখে অশ্রু ঝরায়। এর সঙ্গে নিজের স্বার্থ-বিসর্জন কিংবা ক্ষতির প্রশ্ন জড়িত নয়। কিন্তু যেখানে নিজের স্বার্থ বিসর্জন কিংবা ক্ষতির প্রশ্ন জড়িত সেখানে মানুষ অন্যের জন্যে কাঁদে না; এমনকী অন্যের বিপদে এগিয়েও আসে না। কারণ রক্ত আর মাংসের সংমিশ্রণে গড়া মানুষের রয়েছে ব্যক্তিস্বার্থের আকর্ষণ এবং নানারকম লােভ-লালসা। মানুষ নিজের ভালাে-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণের কথা বিবেচনা করেই অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ায় কিংবা অন্যের বিপদে এগিয়ে আসে। তবে সাধারণ মানুষদের বেলায় এ মন্তব্য সর্বাংশে সত্য হলেও পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মেছেন যারা নিজের বিপদের আশঙ্কাকে তুচ্ছ ভেবে অন্যের কল্যাণে ঝাপিয়ে পড়েছেন। এরা যেমন মহামানব তেমনই দেবতুল্য।
মন্তব্য: ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে অন্যের কথা ভাবতে হবে; অন্যের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে একদিকে যেমন সব বিপদের আশঙ্কা দূর হয়ে যাবে, তেমনই মানুষ দেবতুল্য সম্মান ও, মর্যাদার অধিকারী হবে।
Post a Comment