সম্প্রসারিত ভাব: প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে নারী ও পুরুষের হাত ধরেই পৃথিবী সভ্যতার পথে এগিয়ে চলেছে। সভ্যতার এ অগ্রযাত্রায় মানবজাতির উভয় অংশের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছে। এ বৈষম্যের অবসান হওয়া প্রয়ােজন। নারী ও পুরুষ উভয়ই মানুষ, এ দুই সত্তার মাঝে যে কারও অধিকার খর্ব করা হলে তা হবে মানবাধিকার হরণ করার শামিল। নর এবং নারী একে অপরের পরিপূরক সত্তা। মানুষ তার মেধা আর কায়িক পরিশ্রম দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে বর্তমান সভ্যতার তিলােত্তমা মূর্তি। এ নির্মাণ অভিযাত্রায় নারী ও পুরুষ উভয়ই সমান অংশীদার। সভ্যতার বেদীমূলে পুরুষের পরিশ্রমের আর সংগ্রামের পদচিহ্ন খােদিত হলে সেখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে সহাবস্থান করবে নারীর সেবা আর কর্তব্যনিষ্ঠাও। সভ্যতাকে সাজাতে-গােছাতে পুরুষ দিয়েছে শক্তি ও শ্রম। আর তাতে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নারী। সব যুগের সব দেশের মানুষের জন্যে একথা সত্য, এটা বিধাতার সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। এখানে তাই স্বেচ্ছাচারিতার কোনাে সুযােগ নেই। আর যদি আসে তবে তা হবে মানবতাকে অবজ্ঞার শামিল, সৃষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার শামিল । মানবকল্যাণের পথে তাই উভয়কেই অগ্রসর হতে হবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, আর ভালােবাসার অনুভূতির মধ্য দিয়ে।
মন্তব্য: পুরুষের শৌর্য-বীর্য আর নারী হৃদয়ের সৌন্দর্য, প্রেম-ভালােবাসা এ দুয়ের মহিমা একত্রিত হয়েই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে। নারী-পুরুষের পারস্পরিক সহযােগিতার মধ্য দিয়েই কেবল পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তােলা সম্ভব।
Post a Comment