সম্প্রসারিত-ভাব : জগতে বেঁচে থাকতে হলে প্রথমে আমাদের প্রয়ােজন ক্ষুধার জ্বালা মিটানাের জন্য দু'মুঠো খাবার এবং লজ্জা নিবারণের জন্য পােশাক। এর পরই দরকার মাথা গোজার একটা ঠাই। কিন্তু আমাদের সমাজের বৃহত্তর অংশই অন্ন, ব, আশ্রয় বঞ্চিত। তার প্রধান কারণ সামাজিক বিধি-ব্যবস্থা। আমাদের সমাজে যে বিধি -ব্যবস্থা প্রচলিত তার সুফল ভােগ করে এক শ্রেণীর মানুষ, বঞ্চিত হয় বেশির ভাগ। কেউ প্রচুর ধন ঐশ্বর্যে ফীত হয়ে বাবুয়ানা করে দিন কাটায় আর অনেকেই অসহনীয় দারিদ্র্যের মধ্যে দিনতিপাত করে। দারিদ্র্যের অসহ পীড়নে, ক্ষুধার তীব্র জ্বালায় অধৈর্য হয়ে কেউ বিধিব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, চুরির দায়ে তখন সে দোষী, অভিযুক্ত। বিজ্ঞজনের মতে, কিন্তু তুমি কি দেখতে পাওনা যে, ধনীর দোষেই দরিদ্র চোর হয়? পাঁচ শত দরিদ্রকে বঞ্চিত করিয়া একজনে পাঁচশত লােকের আহার্য সংগ্রহ করিবে কেন? যদি করিল, তবে সে খাইয়া তাহার যাহা বাহিয়া পড়ে, তাহা দরিদ্রকে দিবে না কেন? যদি না দেয়, তবে দরিদ্র অবশ্য তাহার নিকট হইতে চুরি করিবে।' বিচক্ষণ মানুষ মাত্রই এ যুক্তি চিরকাল স্বীকার করতে বাধ্য যে, চোরেরা তার নিজের অভাব পূরণের জন্যই চুরি করে। আর কৃপণ ধনী লােকেরা প্রয়ােজনের অতিরিক্ত সম্পদ জমা করে অন্যকে বঞ্চিত ক করে চলেছে। যুগ যুগ ধরে যে কোন দেশে এ অন্যায় চলে আসছে। তাই শুধু চোর নয়, কৃপণ ধনী তার চেয়ে অনেকগুণে দোষী।
ভাবসম্প্রসারণ চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ ধনী তদপেক্ষা শতগুণে দোষী।
Sraboni
... min to read
Listen
মূলভাব : না বলে অন্যের জিনিস নিলে চুরি করা হয়। যারা এ কাজ করে তারা নিঃসন্দেহে চোর এবং দোষী। কিন্তু মানুষ কেন এ ধরনের কাজে প্রবৃত্ত হয় তা আমাদের অনুসন্ধান করে দেখা উচিত।
Post a Comment