পুষ্পের মুকুল নিয়ে আসে অরণ্যের আশ্বাস বিপুল
সম্প্রসারিত-ভাব : মানুষের যে কোন বড় কাজের প্রাথমিক সূচনা হয় ছােট পরিসরে। অনেক সময় তার সূত্রপাত ঘটে সবার উদ্ভব ও অলক্ষ্যে। আপাতদৃষ্টিতে তাকে মনে হয় তুচ্ছ, ক্ষুদ্র। কখনও কখনও তাকে দেখা হয় উপেক্ষা কিংবা অবজ্ঞার চোখে। কিন্তু সেই ছােট কাজের মধ্যে যে মহৎ বিশাল আকাঙ্ক্ষার বীজ বপন করা হয়, এক সময় তা বিশাল সাফল্যের মহীরুহ হয়ে উঠতে পারে। অনুকূল পরিবেশে নিরবচ্ছিন্ন শ্রম, সনিষ্ঠ কর্মতৎপরতা ও অন্যের সহযােগিতায় স্বল্লায়তনিক ছােট ছােট কাজ ক্রমে গুরুত্ব, তাৎপর্য ও আয়তনিক বিচারে বিশাল হয়ে উঠে। ছােট ছােট মানব শিশুও তেমনি, ছোেট শিশুর সম্ভাবনাময় বিরাট প্রতিভা। উপযুক্ত লালন ও পরিচর্যায় যা হতে পারে বিকশিত। ছোটর অন্য মধ্যে পুকিয়ে থাকে গুরুত্বের কথা আমরা সবাই জানি, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তােলে মহাদেশ সাগর অতল। দেশের উন্নতি কিংবা মানব সভ্যতার অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে দেখলেও ছােট ছােট কাজের গুরুত্ব অনুভব করা যায়। এক সময় বিদ্যুতের আবিষ্কার ছিল নিছক ছােট ঘটনা। আজ বিদ্যুৎ হয়ে উঠেছে সভ্যতার চালিকাশক্তি। বিশ শতকের মহাবিস্ময় যে কম্পিউটার তার আদি রূপ ছিল নিছক একটা ছােট গণকযন্ত্র। অরণ্যের অগণিত বনস্পতির নেপথ্যলােকে রয়েছে বীজপ্রসূ পুষ্পমুকুলের ভূমিকা। তার মধ্যেই শােনা যায় অরণ্য সম্ভাবনার মর্মরধ্বনি। অতএব, ছােট ছােট চিন্তা ও কাজের মাধ্যমেই সৃচিত হতে পারে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় মানবিক মহৎ আয়ােজন।
Post a Comment