যৌতুক কী : Banglapedia অনুসারে যৌতুক হচ্ছে Property or money giver by a bride's family to a groom's family of vice versa as part of a marrige contract, অর্থাৎ বিয়ে চক্তি অনুসারে কনের পরিবারের পক্ষ থেকে বরের পবািরকে কিংবা বরের পরিবারের পক্ষে থেকে কনের পরিবারকে যে সম্পত্তি বা টাকা প্রদান করা হয় তা-ই যৌতুক। অপরদিকে Oxford Advanced Learner's Dictionary অনুসারে Dowary বা যৌতুক হচ্ছে Money and/ or property that, in some societies, a wife of a husband must pay to her/ his spouse's family when they get married. অর্থাৎ কিছু কিছু সমাজে বর বা কনে বিয়ের সময় স্বামী বা স্ত্রীর পরিবারকে যে টাকা বা সম্পত্তি অবশ্যই প্রদান করতে হয় তা-ই যৌতুক। লক্ষ করলে দেখা যায়, উল্লিখিত সংজ্ঞার give' ক্রিয়াটি ব্যবহার করা হয়েছে যা যৌতুকের নেতিবাচকতা প্রকাশ করে না। তবে পরবর্তী সংজ্ঞায় give স্থলে 'must pay' কথাটির ব্যবহার এ উপমহাদেশের যৌতুকের সঠিক রূপটি সুস্পষ্টরূপে তুলে ধরছে। প্রকৃতপক্ষে বিয়ের সময় বর বা কনে পক্ষ থেকে যে নগদ অর্থ, উপটৌকন বা সমপত্তি আদায় করা হয় বা আদায়ের অঙ্গীকার করানাে হয়, তা-ই যৌতুক। কিন্তু বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে যৌতুক, তার উভয়মূখী প্রবণতা পরিহার করে একমূখী নীতি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ বর্তমানে কেবল আমাদের নারী সমাজই যৌতুকের শিকার। বাংলায় যৌতুকের সমার্থক শব্দ হচ্ছে পণ, হিন্দি এবং উর্দুতে দাহেজ আরবিতে মহর বা মহরানা এবং ইংরেজিতে Dowry বা Dower তবে সমার্থক হলেও শব্দগুলাের মধ্যে ব্যবহারিক দিক দিয়ে বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে সাধারণভাবে মেয়েপক্ষ কর্তৃক ছেলেপক্ষকে প্রদত্ত অর্থ, সম্পদ বা সম্পত্তিকে আমরা যৌতুক বলি। কিন্তু ছেলেপক্ষ কর্তৃক বিয়ের সময় মেয়েপক্ষকে এসব দেয়া হলে, তাকে বলা হয় পণ। অপরদিকে মুসলিম পারিবারিক আইন বা শরীয়াহ আইন অনুসারে বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদেয় অর্থ, সম্পদ বা সম্পত্তি হচ্ছে ‘মহর’ বা ‘মহরানা'। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি কোনভাবেই যৌতুক নয়। ১৯৬১ সালের ভারতীয় যৌতুক নিরােধ আইন এবং বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরােধ আইনেও মহর বা ‘মহরানা’ কে যৌতুকের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। অপরদিকে Banglapedia প্রদত্ত যৌতুকের সংজ্ঞায় ‘মহর’ বা ‘মহরানাকে’ Dowry না বলে Dower হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
যৌতুকের উৎপত্তি : প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু সমাজে বরপক্ষ কর্তৃক কনেপক্ষকে যৌতুক দেয়ার মাধ্যমে পণপ্রথা হিসেবে যৌতুক প্রথার প্রচলন হয়। কিন্তু আধুনিক কালে হিন্দু সমাজে বিশেষথ উচ্চবংশের লােকদের মধ্যে অভিজাততন্ত্র বা বর্ণপ্রথার কারণে বরপক্ষকে যৌতুক দেয়ার প্রথা প্রচলিত হয়। অপরদিকে হিন্দু পারিবারিক আইনের কারণেও হিন্দু সমাজে যৌতুকের ব্যাপক প্রসার ঘটে। একইভাবে সেই প্রাচীনকাল থেকেই মুসলিম সামাজেও পণপ্রথা ও যৌতুক প্রথার প্রচলন রয়েছে। তবে বর্তমানে পাক-ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থায় কেবল যৌতুকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
যৌতুকের কারণ : প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যৌতুক প্রথার প্রচলন ও বহাল তবিয়তে টিকে থাকার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। কয়েকটি দিক পর্যালােচনা করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে :
ক) অর্থলােলূপতা : অনেক যুবকের মধ্যেই নিজের অযােগ্যতা বা শ্রম বিমুখতা সংশােধনের প্রবণতা নেই। অন্যের কষ্টার্জিত ভাণ্ডার থেকে যথেচ্ছা লুন্ঠন করে নিজের শুন্যভাণ্ডার পূরণের মানসিকতা তাদেরকে ভীষণভাবে তাড়িত করে। একই মনােভাব পােষণ করেন তাদের অভিভাবকগণও তাদের এই অর্থলােলুপতা যৌতুক প্রথাকে ভায়াবহ রূপদান করেছে।
খ) কৌলিন্য পথা : প্রাচীনকাল থেকেই স্বচ্ছল কন্যাপক্ষ বরপক্ষকে নানা প্রকার উপহার সামগ্রী প্রদান করত। এসব উপহার সামগ্রী ছিল তাদের কৌলিন্য তথা আভিজাত্যের প্রতীক। কিন্তু কালক্রমে এই রীতি বাধ্যতামূলকতায় রূপান্তরিত হয়ে ভয়াবহ যৌতুক প্রথায় রূপ ধারণ করে। অপরদিকে নিচু বংশের কনেকে উচ্চ বংশের বরের সাথে বিয়ের ক্ষেত্র কনের যােগ্যতার ঘাটতি পূরণে যৌতুক প্রদানের বিষয়টি গুরুত্ব লাভ করে। ফলে বংশীয়সূত্রে যোেগ্য পাত্রে কন্যা সম্প্রদানের ক্ষেত্রে কন্যাপক্ষ যৌতুক প্রদানে বাধ্য হয়।
গ) হিন্দু পারিবারিক আইন : হিন্দু পারিবাকির আইন অনুসারে মেয়েরা উত্তরাধিকারসূত্রে পিতৃসম্পদের দাবিদার নয়। ফলে ‘যা নেওয়ার তা বিয়ের সময়ই নিয়ে নাও -এ ধরনের মানবিকতার সৃষ্টি হয় যা যৌতুক প্রথাকে আরাে তীব্র করে।
ঘ) অনগ্রসর নারী শিক্ষা: আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এমনকি এখনও অনেক অভিভাবক মনে করেন যে, মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে তােলার পেছনে অর্থব্যয়ের কোন যৌক্তিকতা নেই। ফলে আমাদের নারী সমাজ শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ । তাদের এই পশ্চাৎপদ যােগ্যতার নিরীখে তাদেরকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। তাই যােগ্য শিক্ষিত পাত্র যােগাড় করার জন্য কন্যাপক্ষকে যৌতুক দিতে হচ্ছে। বস্তুত, কন্যাপক্ষের নিকট বরের শিক্ষাগত যােগ্যতা ভাল চাকরি পবার সমভাবনার কারণে তার মূল্য অনেক বাড়িয়ে দেয়। The Bengal Census Report- 1911 এ বলা হয়- "Education instead of mitigaitng the baneful effects of kulinism has gone to a horrible degree to strengtyhen them in fact, the university standard has become a more powerful engine of opression for the girl's father than kulinism. অর্থাৎ কৌলিন্য প্রথা বা অভিজাততন্ত্রের অভিশপ্ত ফলাফলের পরিবর্তে শিক্ষা সেগুলােকে ভয়াবহভাবে শক্তিশালী করছে। মূলত কৌলিন্য প্রথার চেয়ে মেয়েদের বাবার উপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা একটি শক্তিশালী ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের পশ্চাৎপদতার কারণে তাদেরকে যৌতুকের শিকার হতে হয়।
ঙ) নারীর অবমূল্যায়ন : পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজে নারীকে বস্তুর সাদৃশ্য বিচার করা হয়। সমাজে নারীর এই অবমূল্যায়নই যৌতুক প্রথার উৎপত্তির উৎস। শৈশব পিতার , যৌবনে পতির আর বার্ধক্যে পুত্রের অধীনরূপে নারীর ভূমিকা মূল্যায়ন করা হয়। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের ভাষায়-"নারীর সম্মান অসম্মানের মূল্য নির্ভর করে পুরুষের ধারণার উপর। নারীকে ইচ্ছা ও অনুভূতির মানবিক স্বাতন্ত্র্যে মুল্যায়িত না করে জড়বস্তুর মত ভাবা হয়।” আর তাই নারীর এই অবমূল্যতার সংগে যৌতুকের অর্থ সমন্বয় করে নারীর স্থান নির্ধারণ করা হয়।
যৌতুকের প্রভাব : আমাদের আর্থ-সামাজিক পেক্ষাপটে যৌতুক ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যৌতুকের দাবি মেটাতে গিয়ে অনেক পরিবারকে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মুখােমুখি হতে হয়। কারণ যৌতুকের দাবি মেটানাের জন্য তাদেরকে জিম, গৃহস্থালির বিভিন্ন দ্রব্যাদি এবং কখানাে এমনকি বসত ভিটাও বিক্রি করে দিতে হয়। এরপরও কনের পিতামাতার মনে মেয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন নিশ্চয়তা থাকেনা, কারণ কখনাে কখনাে বিয়ের সময় নির্দিষ্ট করা যৌতুকের দাবি পুরােপুরি পূরণ করার পর নতুর করে যৌতুক দাবি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে যৌতুক নারীর প্রতি অন্যায়, অসাম্য ও শােষণ– নির্যাতনকেই প্ররোচিত করে। ফলে পারিবারিক জীবন অনিরাপদ ও দামপত্য জীবন জটিল হয়ে পড়ে। চুক্তি অনুসারে কিংবা দাবিকৃত যৌতুক যথাসময়ে যথাযথভাবে দেওয়া না হলে কনের উপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন যা কখনাে কখনাে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বস্তুত, যৌতুকের সর্বনাশা রীতিতে মানুষের মর্যাদা হারিয়ে একটি মেয়ে হয়ে পড়ে ক্রয়-বিক্রয়ের বস্তু আর সে মেয়ের অসহায় অক্ষম পিতা হয় একজন নতজানু ব্যক্তি মাত্র। অন্যদিকে কন্যাদায়গ্রস্থ অভিভাবকগণ কোন না কোন ভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে চান। ফলে অনেক সময় সমাজে বহুবিবাহ দেখা দেয়। উনবিংশ শতাব্দীতে এ অবস্থা এত তীব্র আকার ধারণ করেছিল যে হিন্দু সমাজে উচ্চবর্ণের কোন কোন ব্রাহ্মণের শতাধিক বিয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা স্ত্রীদের শ্বশুর বাড়িতে ফেলে রাখতেন এবং সারাবছর এক শ্বশুর বাড়ি থেকে অন্য শ্বশুর বাড়িতে যেতে যেতে পরজীবীরে মত জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানকালেও যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং যৌতুকলােভী অর্থলােভী পুরুষ পুনঃপুনঃ বিয়ে করে।
বাংলাদেশে যৌতুক বিরােধী কার্যক্রম : ১৮৪৫ সনের 'কুলীনকুল সর্বস্ব' নাটকটিকে এতদঞ্চলে প্রথম যৌতুকবিরােধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি যৌতুক বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছিল। এরপর যৌতুকের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেমে থাকেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র, কাজী নজরল ইসলামসহ সমসাময়িক সাহিত্যিকগণ যৌতুকের বিরুদ্ধে তাদের বলিষ্ঠ লেখনি তুলে ধরেছিলেন। নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রােকেয়া সাখাওয়াৎ হােসেন ১৯০৪ সনে শ্বশুরের কাছ থেকে যৌতুক দাবিদারদের কঠোর সমালােচনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ দীর্ঘকাল যাবৎ যৌতুকবিরােধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সনে যৌতুক বিরােধ আইন প্রনয়ন করে। এছাড়া ১৯৮৩, ১৯৯৫, ও ২০০০ সনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন প্রণয়ন করা হয়ে যেগুলোতে যৌতুকের কারণে স্ত্রী হত্যা বা মারাত্মকভাবে আহত করার শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। কিন্তু তবুও যৌতুক সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয়নি। দিনদিন তা বরং বিস্তৃত হয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।
যৌতুক নিবারণের উপায় : যৌতুক একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হওয়ায় এবং সমাজের অনেক গভীরে এর শেকড় প্রাথিত থাকায় সমাজ থেকে এটি সম্পূর্ণ দূরীভূত করা একটি সময় সাপেক্ষ ও জটিল কাজ। তাই যৌতুক নির্মূলে একটি পরিকল্পিত সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা থেকে যৌতুক নির্মূলে নিচের সুপারিশগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :
ক) ধর্মীয় ও সামাজিক বিধিনিষেধ এখনও নারী শিক্ষার প্রধান অন্তরায়। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করে নারীশিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে নারীকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আয় বৃদ্ধিকারী কার্যক্রমে কার্যকরভাবে উৎসাহিত করতে হবে।
খ) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ) যৌতুক নিরােধ আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়ােগ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়ােজনে বিদ্যমান আইনের যথাযথ সংশােধন করতে হবে।
ঘ) বিভিন্ন নারী সংগঠনসহ গ্রগতিশীল শক্তিসমূহ ও সচেতন জনগণকে সমাজ থেকে যৌতুক নির্মূলে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ যৌতুকের শিকার নারীদেরকে নিশ্চুপ না থেকে সােচ্চারকণ্ঠে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে হবে।
ঙ) সচ্ছল ও অভিজাত লােকদের মধ্যে বরপক্ষকে অধিকতর মূল্যবান উপঢৌকন প্রদানের অসুস্থ প্রতিযােগিতা বন্ধ করতে হবে। বিয়ের ব্যয় সংকোচন ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চ) যেহেতু যৌতুক প্রথার প্রধান ধারক ও বাহক হচ্ছে পুরুষ সেহেতু তাদেরকেই যৌতুক নিরােধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। পুরুষ যদি নারীর যথার্থ মূল্যায়ন করতে সক্ষম হয় তাহলেই সমাজ থেকে যৌতুক প্রথার মত ভয়াবহ ব্যাধি দূরীভূত হতে পারে।
উপসংহার : আমাদেরকে যৌতুকের অভিশাপ নির্মূলে চলমান সংগ্রাম যেকোন মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে। যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিষয়টিকে আমাদের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, আইনগত, রাষ্ট্রীয় এবং সর্বোপরি সামাজিক কাঠামাের প্রেক্ষিতে বিচার বিশ্লেষণ করে সমন্বিতভাবে প্রয়ােজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলেই সমাজ থেকে এ প্রথা নির্মূল করা সম্ভব। আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, যৌতুক রাতারাতি নির্মূল হবে না। তবে যৌতুকের বিরুদ্ধে অব্যাহত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ কার্যক্রম চালিয়ে রাখা সম্ভব হলে সমাজ থেকে একদিন তা অবশ্যই দূরীভূত হবে।
Post a Comment