ভাবসম্প্রসারণ: অফুরন্ত সৌন্দর্যের ক্ষণস্থায়ী এক মধুর নিকুঞ্জ আমাদের এ জীবন। ক্ষণস্থায়ী এ পৃথিবীতে মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। মৃত্যুর ধ্বংসলীলার মাধ্যমে মানুষের নিথর দেহের বিলুপ্তি ঘটলেও তার মহকর্মের সুরভি কখনও শেষ হওয়ার নয়। তার এ মহতকর্ম যুগ থেকে যুগান্তরে ঘুরে বেড়ায় মহাকালের ঘূর্ণনচাকায়। কাজেই মানুষ যদি যথার্থ কাজ করে যেতে পারে, তবে মৃত্যু তার নশ্বর দেহ নিশ্চিহ্ন করে দিলেও তার কর্মের সুফল ও খ্যাতির আলােকবর্তিকায় সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে পার্থিব জগৎ। কর্মগুণে তিনি চিরঞ্জীব হয়ে থাকেন মানুষের মনের মণিকোঠায়। মানবমনের মন্দিরে প্রতিটি মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে। তাই কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, সমাজসেবী, রাষ্ট্রনায়ক প্রভৃতি প্রতিভাবান ব্যক্তিরা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে রয়েছেন। পক্ষান্তরে যারা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন; সমাজ, দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্যে কিছুই করেননি, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মুছে গেছে তাঁদের নাম। তাদের জীবন অভিশপ্ত। কেউই তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে না।
মন্তব্য: মানুষ তার মহৎকর্ম দ্বারা নিজেকে সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে, লাভ করতে পারে সার্থক জীবন ও অমরত্ব।
Post a Comment