সম্প্রসারিত-ভাব : 'সৌভাগ্যের জয়টিকা' তার করায়ত্ত হয়। সংগ্রামমুখর জীবন দৈবকে ভয় পায় না, কারণ কর্ম ও প্রচেষ্টা তার নিত্য সহচর রূপে সাহস জোগায়। পৌরুষই হয় তার আসল শক্তি। আর এ শক্তি বলে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করে, অজেয়কে জয় করে, দুর্লভকে সুলভ করে। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, 'Man is the architect of his own fortune' মানুষ নিজের ভাগ্য সে নিজেই তৈরি করে। আর যারা ভীরু, দুর্বল তারা দৈবের দোহাই দিয়ে পড়ে পড়ে মার খায়। সংস্কৃতে আছে,
'উদ্যোগনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ
দৈবেন দিয়মিতি কাপুরুষঃ বদন্তি।'
যারা উদ্যোগী পুরুষ তারা সিংহের মত শক্তিশালী। এ পুরুষ সিংহদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। ভাগ্যলক্ষ্মী তাদের কাছে ধরা দেন। আর যাদের মনে সাহস ও দেহে বল না থাকার দরুণ উদ্যমহীন তারা দৈবের দোহাই দিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করে। কাপুরুষরা নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার জন্য বহু অজুহাত দাড় করতে পারে, কিন্তু সৌভাগ্য ইমারতে প্রবেশের ছাড়পত্র কখনও পায় না। সৌভাগ্য ইমারতের অধীশ্বর তিনিই হতে সক্ষম যার উদ্যম আছে, শ্রম এবং সংগ্রামকে যিনি ভয় না পেয়ে জয় করার মানসিকতা অর্জন করেন।
Post a Comment