SkyIsTheLimit
Bookmark

বাংলাদেশের গৃহায়ণ সমস্যা রচনা

গৃহায়ণ সমস্যা ও তার সমাধান
বা গৃহায়ণ ও বাংলাদেশ

সূচনা : জনবহুল বাংলাদেশে বর্তমানে গৃহায়ণ সমস্যা একটি অন্যতম জাতীয় সমস্যা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে গৃহায়ণ সমস্যা ওতপ্রােতভাবে জড়িত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে আবাসিক সমস্যাও। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলােতে গৃহায়ণ সমস্যা আরও জটিল। উন্নয়নশীল দেশগুলােতে জনসংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু জমি বাড়ছে না। জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু সে হারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে না। এর ফলে জনগণ সর্বদা ব্যস্ত অন্নের সমস্যা সমাধানে। ভােরে ঘুম থেকে উঠে রাত অবধি সে হন্যে হয়ে ঘুরছে রুটি রুজির আশায়। খাদ্যের সমস্যা, দুবেলা দুমুটো খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়ােজন তাকে সর্বদা ব্যস্ত করে রাখছে। ফলে আবাস্থল নিয়ে ভাববার অবকাশ তার নেই। যদিও মানুষের চারটি মৌলিক সমস্যার অন্যতম সমস্যা হল বাসস্থান সমস্যা, এককথায় পেটের চিন্তা মানুষকে আগে করতে হয়। ফলে গৃহায়ণ সমস্যা সমস্যাই থেকে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

বাংলাদেশের গৃহায়ণ সমস্যা : বর্তমানে বাংলাদেশে গৃহায়ণ সমস্যা এক তীব্র আকার ধারণ করছে। ভাসমান জনসংখ্যা ছাড়াও বস্তির দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি, নির্মাণ উপকরণের মূল্য স্ফীতি, জমি ক্রয়ের উপর ব্যাপক ফটকাবাজী এবং অবিশ্বাস্য বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিরাট জনসংখ্যার জন্য প্রয়ােজনীয় পানীয় ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অনুপস্থিতি বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরীব ও দুস্থ জনগণের আশ্রয়স্থলের সংকট প্রভৃতি গৃহায়ণ সমস্যাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। ১৯৯১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শহরাঞ্চলে প্রায় ১০ লক্ষ এবং গ্রামাঞ্চলে প্রায় ২২ লক্ষ গৃহের ঘাটতি আছে। ২০০০ সাল নাগাদ এ ঘাটতির পরিমাণ ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। গৃহের বয়ঃবৃদ্ধি এবং গৃহস্থের দারিদ্র্যের কারণে বিদ্যমান গৃহগুলোর অবস্থারও দ্রুত অবনতি ঘটছে।

গ্রামাঞ্চলে গৃহায়ণ : বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। দেশের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ আবাসস্থল বিদ্যমান গ্রামাঞ্চলে। অথচ গ্রামীণ গৃহায়ণে সরকারের ভূমিকা সীমিত। সরকার শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদিতে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণের জন্য নির্মাণ উপকরণ ত্রাণ হিসেবে দিয়ে থাকে। দারিদ্র্যের কারণে গ্রামাঞ্চলের ৮৫% গৃহের অবস্থা এত খারাপ যে এগুলাে বাতাস, বৃষ্টি এবং বন্যার কবল হতে বাসিন্দাদেরকে রক্ষা করতে পারে না। গ্রামাঞ্চলের প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ গৃহ খড়ের ছাউনি, শতকরা ৩০ ভাগ গৃহ টিনের ছাউনি এবং গ্রামাঞ্চলের শতকরা ৮৫ ভাগ কাঁচা বাড়ি ও মাত্র শতকরা ১৫ ভাগ পাকা বাড়ি রয়েছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩০% লােক গৃহহীন এবং ৮৫% লােক কাঁচা ও নড়বড়ে নিম্নমানের ঘরে বাস করে। এভাবে গৃহায়ণ সমস্যার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় গ্রামবাসীর অশান্তির জীবন, দুঃখের জীবন।

শহরাঞ্চলে গৃহায়ণ : বাংলাদেশে শহরাঞ্চলে গৃহায়ণ সমস্যা আরও প্রকট। শহরাঞ্চলে বিশেষ করে ঢাকাসহ কয়েকটি শহরে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের লােকসংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষই বস্তিবাসী। শহরের জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপক হারে। কিন্তু সাধারণ সামর্থ্যদের মধ্যে আছে এমন গৃহায়ণ একই হারে বিস্তৃতি লাভ করছে না। ফলে বাসা ভাড়া দিন দিন বাড়ছে। স্বল্প আয়ের লােকেরা টাকার অভাবে একটি দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্ত্রী, সন্তানাদিসহ কোন রকমে জীবনযাপন করছে। বস্তির লােকেরা নর্দমাসহ এক চিলতে ক্ষুদ্র জমিতে সামান্য বেড়া দিয়ে তৈরি করেছে আশ্রয়স্থল। সেখানে বর্ষায় পানি জমে, রােগ ব্যাধি সবসময় তাদের বস্তিকে ঘিরে রেখেছে। তারা হয়ত স্রষ্টার করুণা থেকে বঞ্চিত। রাস্তার ধূলা মাটি, গাড়ির ধোঁয়া, নােংরা পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রভৃতির মধ্যে বেড়ে উঠে সার্থক দম্পতির জৈবিক তাড়নার ফসল তাদের সন্তানাদি। কিন্তু সরকারি বেসরকারি, এনজিও পর্যায়ে জনবসতি স্থাপন এবং নাগরিক অবকাঠামাে নির্মাণের জন্য তহবিলের অভাব অত্যন্ত প্রকট। ফলে ছােট বাড়িতে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে সৃষ্টি হচ্ছে সমস্যা, বৃদ্ধি পাচ্ছে বস্তির সংখ্যা এবং সে সাথে নাগরিক সেবার উপর ভীষণ প্রেসার পড়ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ গরীব জনসাধারণের গৃহায়ণ সমস্যা সমাধান উদ্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক এজেন্সীর অনুপস্থিতি সমস্যাটিকে আরও তীব্রতর করে তুলছে।

গৃহায়ণ সমস্যার কারণ : গৃহায়ণ সমস্যা কোন একক কারণে সৃষ্ট হয় নি। বাংলাদেশের গৃহায়ণ সমস্যাকে বিভিন্ন কারণ আরাে প্রকট করে তুলছে। এসব কারণগুলাের মধ্যে কিছু রয়েছে প্রাকৃতিক। আবার কিছু আমাদের নিজেদের সৃষ্ট। এ কারণগুলাে সংক্ষেপে নিম্নে তুলে ধরা হল:
১. বাংলাদেশের গৃহায়ণ সমস্যার প্রধান কারণ হল জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪ কোটি প্রায়। বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু জমি বাড়ছে না, মুখ বাড়ছে। কিন্তু সে হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে না। এভাবে সৃষ্টি হচ্ছে যেসব সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম হল গৃহায়ণ সমস্যা।

২. বাংলাদেশে গৃহায়ণ সমস্যার অন্যতম কারণ হল দারিদ্র্য। দেশের অধিকাংশ লােক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস কর। তাদের জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত নীচু। তারা জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য যেমন খাদ্য বস্ত্র এগুলোরই ঠিকমতাে সংকুলন করতে পারে না, আর গৃহ নির্মাণের জন্য যে অর্থের প্রয়ােজন তার যােগাড় তাদের নেই।

৩. বাংলাদেশে জনগণের মাথাপিছু জমির পরিমাণ খুবই কম। অধিকন্তু গ্রাম এবং শহরাঞ্চলে অধিকাংশ জমি মুষ্টিমেয় বড় লােকের হাতে কেন্দ্রীভূত। ফলে অনেকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও গৃহ নির্মাণ করতে পারে না। বাধ্য হয়ে তারা প্রয়ােজনের তুলনায় অপ্রতুল এমন একটি বাসা ভাড়া নিচ্ছে অথবা বিভিন্ন হাউজিং সােসাইটির নিকট থেকে ক্ষুদ্র একটি প্লট কিনছে না হয় কোন বিল্ডিং এর ক্ষুদ্র একটি ফ্লাট কিনছে।

৪. বেকার সমস্যা বাংলাদেশের গৃহায়ণ সমস্যার একটি উল্লেখযােগ্য কারণ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি কর্মক্ষম মানুষ বেকার রয়েছে। বেকার মানুষ খাদ্য সমস্যারই সমাধান করতে পারে না, সেখানে গৃহায়ণ সমস্যার সমাধান করবে কিভাবে? অধিকন্তু বেকার জনগণ অধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। হতাশা, দুশ্চিন্তা সর্বদা তাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তােলে। সেজন্য তারা একটু সুখের সন্ধানে, মানসিক তৃপ্তির মােহে মিলিত হয়। অনিয়ন্ত্রিত জৈবিক কামনায় যা জনসংখ্যা বৃদ্ধি করছে দ্রুতগতিতে। এভাবে গৃহায়ণ সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ।

৫. বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের গৃহ হল কাঁচা এবং নড়বড়ে। সামান্য ঝড় বৃষ্টিতেই এসব ঘরবাড়িগুলাে ভেঙে যায়। অধিকাংশ বাড়িগুলাে একেবারেই নীচু জমিতে অবস্থিত। ফলে সামান্য বৃষ্টির পানি জমলেই বাড়িতে পানি উঠে এবং তা বসবাসের অযােগ্য হয়ে পড়ে। এভাবে আকস্মিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।

গৃহায়ণ সমস্যার সমাধান : বাংলাদেশে গৃহায়ণ সমস্যা সবাইকে আজ ভাবিয়ে তুলছে। বাংলাদেশের জমির পরিমাণ অপ্রতুল এবং এর বণ্টনও অত্যন্ত অসম। বাড়ি নির্মাণে অর্থায়ন ব্যবস্থার ভিত্তিও অত্যন্ত ক্ষীণ। আনুষ্ঠানিক উৎস মাত্র ৫% বাড়ি নির্মাণে অর্থায়ন করে। হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন শুধু শহরে উচ্চ এবং মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণে অর্থায়ন করে। ফলে পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং এনজিও যেমন - গ্রামীণ ব্যাংক, কেয়ার, কনসার্ণ, প্রশিকা গ্রামে গরিবদেরকে গৃহ নির্মাণে অর্থায়ন করছে। বেসরকারি হাউজিং কোম্পানিসমূহ উচ্চ এবং মধ্যবিত্তদের জন্য বাড়ি নির্মাণ ও জমি উন্নয়ন করে বিক্রয় করছে। জাতীয় গৃহায়ণ নীতির যে লক্ষ্যগুলাে গুরুত্ব পেয়েছে তার প্রধানগুলাে হচ্ছে:

১. গ্রামে এবং শহরে গৃহায়ণকে মধ্য ও নিম্নবিত্ত বিশেষ করে গরিব, দস্থ এবং গৃহহীনদের আওতার মধ্যে আনা, নিম্ন ও মধ্য ৪৮৯ আয়ের লােকদের সামর্থ্য অনুযায়ী গৃহের জন্য উন্নয়নকৃত জমি ও সেবাসহ বরাদুধ করা।

২. বস্তি গড়ে না উঠার কৌশল উদ্ভাবন করা এবং বিদ্যমান বস্তি এলাকার দরকারি সেবা সম্প্রসারণ করে পরিবেশ উন্নয়নসহ প্রয়ােজনে এগুলােকে স্থানান্তর করা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অগ্নিতে বিধস্ত ঘর বাড়ি পুনর্বাসন করা।

৩. গৃহায়ণের জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এর মাধ্যমে সম্পদের সমাবেশ করা, স্বল্প ব্যয় সম্বলিত দেশীয় বনজ নির্মাণ সামগ্রীর উন্নয়ন করা এবং স্বল্প ব্যয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা। 

৪. গৃহায়ণকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে, বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণে নিরুৎসাহিত করে, সম্পত্তি করে একটি ভিত্তি স্থাপন করা। 

গৃহায়ণ সমস্যা সমাধানে বিএইচবিএফসির ভূমিকা : বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর সাবেক গৃহ নির্মাণ ঝণ দান সংস্থার সব দায় ও সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ গৃহ নির্মাণ ঋণদান সংস্থা বা Bangladesh House Building Finance Corporation প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংস্থার অনুমােদিত মূলধন ছিল ১০ কোটি টাকা। মূলধনের সবটাই সরকার কর্তৃক প্রদত্ত। এ সংস্থার ঢাকায় দুটি এবং অন্যান্য বিভাগীয় সদরে ১টি করে মােট ৫টি জোনাল এবং ১৪টি আঞ্চলিক অফিস রয়েছে।বাংলাদেশ গৃহ নির্মাণ ঋণদান সংস্থার প্রধান কাজ হল আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য শহর এলাকায় গৃহ নির্মাণ, মেরামত এবং পুনঃনির্মাণের জন্য প্রয়ােজনীয় ঋণদান করা। বর্তমানে বাংলাদেশ গৃহ নির্মাণ ঋণদান সংস্থা দুধরনের ঋণ প্রদান করে থাকে, তা হল- (১) সাধারণ ঋণ এবং (২) বহুতলা বাসভবন নির্মাণের জন্য বিশেষ ঋণ। একটি আবাসিক বাড়ি নির্মাণের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা এবং দেশের অন্যান্য বিভাগীয় জেলা ও থানা সদরে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ পরিশােধের সর্বোচ্চ মেয়াদ ২০ বছর এবং সুদের হার শতকরা ১৩ ভাগ। 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের গৃহায়ণ সমস্যা শহর ও গ্রামে সমানভাবেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে একযােগে কাজ করতে হবে। তবে দারিদ্র্যবিমােচন, শিক্ষা প্রশিক্ষণের সার্বজনীন সম্প্রসারণ, গ্রামীণ তথা জাতীয় পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং সর্বোপরি স্বল্প ব্যয়ের গৃহায়ণ পদ্ধতির উদ্ভাবন গৃহায়ণ ব্যবস্থার আরও উন্নতি ঘটাবে। এছাড়া স্থানীয় সরকার সােপানগুলােকে শক্তিশালী করে গ্রামীণ গৃহায়ণে সরকারি সহায়ক ভূমিকা পালন করলে গৃহায়ণ সমস্যার অনেকাংশে প্রতিকার নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। আর তা সম্ভব হলে বাংলাদেশের গৃহহীন মানুষ ফিরে পাবে একটু বাসস্থানের আশ্রয়। জীবন গড়বে সুন্দরভাবে।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment