SkyIsTheLimit
Bookmark

অনুচ্ছেদ রচনা খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল বা খাদ্যে ভেজাল

খাদ্যে ভেজাল বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আলােচিত ও অন্যতম সমস্যা। সাধারণত খাদ্যে ভেজাল বলতে বােঝায় খাবারের সাথে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য মেশানাে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের লােভী মনােবৃত্তি থেকে খাবারে ভেজাল দিয়ে থাকে। এর ফলে মানুষের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়ােজন রয়েছে। তবে তা উপার্জন করতে হবে সৎপথে থেকে। কিন্তু সৎ ব্যবসায়ীর সংখ্যা আমাদের দেশে নগণ্য। সামান্য মুনাফার লােভে খাদ্যে ভেজাল দিয়ে 1. মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিতে অধিকাংশের বিবেকে নাড়া দেয় না। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানাে নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। অথচ খাদ্য ভেজাল এখন আমাদের দেশের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানাে হয়। খাদ্যের ধরন হিসেবে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কোনাে খাদ্যে কৃত্রিম রং, ওজন বাড়াতে বালি, কাঁকর, পানি মেশানাে হয়। এছাড়া ফরমালিন ও প্রিজারভেটিভের ব্যবহার ব্যাপক হারে লক্ষ করা যায়। ভেজাল খাবার খেয়ে অনেক মানুষকে অসুস্থতার পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করতেও দেখা যায়। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে খাদ্যদ্রব্যকে ভেজালের কবল থেকে মুক্ত করতে দেশের সরকার ও সচেতন নাগরিক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ভেজাল একধরনের সামাজিক অপরাধ। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment