অনুচ্ছেদ রচনা নাগরিক জীবন
![Sraboni Sraboni](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi44ojHpS0n7un_fjKGa40ICYw2BLOOENJVI7gvMZZlL0B64SmUGPBPKCOzIGNB7mnp6LZEosQxFEboPuBcQ2lpwg6Qp5YxaTt4u1jR-jna16XagOjIbp0cGVTinmBwJY7kqDndQQ4MCwwbu9KIGY6rIzUr1910IucnNklljjdGBAlRUaU3FVttKKVWsRc/s80/w.png)
Sraboni
... min to read
Listen
অতীতে আমাদের জীবনযাত্রা গ্রামকেন্দ্রিক হয়ে থাকলেও ক্রমেই তা হয়ে উঠছে শহরমুখী। কর্মসংস্থান ও জীবিকার প্রয়োজনে ক্রমশই গ্রামের মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। অফিস-আদালত, কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শহরকেন্দ্রিক হওয়াই এর মূল কারণ। গ্রামের চেয়ে শহুরে জীবন বেশি কর্মচঞ্চল, পল্লিজীবনের তুলনায় বেশি অগ্রগামী। এ জীবন কৃত্রিম এবং আধুনিক, যাকে আরও স্থলভাবে বলা যায় সভ্য। পল্লিজীবন অকৃত্রিম আর নাগরিক জীবন তার উল্টো। কৃত্রিমতা কথাটা শুনতে খারাপ হলেও সভ্যতার অংশ বলেই আমরা একে গ্রহণ করেছি। একে নাগরিক জীবনের দোষ বলে গণ্য করাও ঠিক হবে না। তবে নাগরিক জীবনে রয়েছে সহৃদয়তার অভাব, প্রাকৃতিক আবেষ্টনী হতে বিচ্ছিন্নতা। তবু নাগরিক জীবন স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। কেননা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের মর্যাদা গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই নির্ভরশীলতার মূলে মুদ্রার সচলতা ছাড়া আর কোনাে হার্দিক সম্পর্ক এখানে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তবু নগরজীবন শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থবিত্ত, আমােদ-প্রমােদ, বিনােদন ইত্যাদি সকলক্ষেত্রে এতটাই অগ্রসর যে একে অস্বীকার করা অসম্ভব। নাগরিক জীবনের বিশাল কর্মক্ষেত্র মানুষকে নিয়ে যেতে পারে উন্নতির শিখরে, তাই এর দোষ-ত্রুটি নয়, যথার্থতা অর্জন করাই হতে পারে আমাদের লক্ষ্য।
Post a Comment