SkyIsTheLimit
Bookmark

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি বইমেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর কাছে চিঠি লেখাে

২২ মােহাম্মদপুর, ঢাকা
৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
প্রিয় নীরব, 
কেমন আছিস তুই? তােকে অনেকদিন দেখি না, তাই খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। তুই কি আমাকে ভুলে গেছিস? আমি কিন্তু প্রতিনিয়তই তােক অনুভব করি। তুই যখন দেশে ছিলি তখন দেখা যে, বাইরে কোথাও গেলে আমি তাের সঙ্গেই যেতাম। তাই বিশেষ কোনাে জায়গায় গেলে সবচেয়ে বেশি যাকে অনুভব করি, সে তুই। যেমন কিছুদিন আগে বাংলা একাডেমিতে আয়ােজিত একুশে বইমেলায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। তুই দেখলে অবাক হবি প্রতি বছরই বইমেলা সজ্জিত হচ্ছে নতুন রূপে, নতুন সাজে। তুই তাে প্রায় ছয় বছর হলাে দেশ ছেড়েছিস। এখন এলে দেখবি তাের দেখে যাওয়া বইমেলা আর এখনকার বইমেলার মধ্যে কত পার্থক্য। প্রতিদিনই মেলায় একুশের চেতনা ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবােধ সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক আয়ােজন থাকে। প্রতিদিনই মেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন, চিন্তাভাবনা অনেক উন্নত হয়েছে, তাই বাংলা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ তাদের আরাে বেড়েছে। এখন বইমেলায় অনেক সতর্কতা ও নিরাপত্তা লক্ষ করা যায়। সারাদিনই র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা মেলার শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়ােজিত থাকে। দর্শকেরা লাইনে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে মেলায় প্রবেশ করে। বইমেলায় প্রবেশের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষের সুদীর্ঘ লাইন ও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এ দৃশ্য দেখতে খুবই ভালাে লাগে। এছাড়া প্রতিদিনই মেলায় অনেক গুণী, জ্ঞানী, লেখক, প্রকাশক ও কবিরা আসছেন। সন্ধ্যার পরে মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়ােজন করা হয়। মেলায় দর্শনার্থীরা প্রচুর বইও ক্রয় করছেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখা বইগুলােই বেশি পরিমাণে বিক্রি হয়। কবি নির্মলেন্দু গুণ, লেখক ইমদাদুল হক মিলন, কল্পবিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত থাকে মেলাটি। বইমেলাটি একুশের চেতনাকে আরও জাগিয়ে তুলেছে। 
আজ আর নয়। অনেক লিখে ফেললাম। তুই ভালাে থাক আর প্রতিদিনই বাংলা গল্পের বই পড়বি। মনে রাখবি-বাংলা আমাদের অহংকার। 
ইতি- 
নিঝুম 
* [এখানে ইংরেজিতে বিদেশি ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment