৩রা অক্টোবর, ২০১৭
প্রিয় নাসরিন,
পত্রের শুরুতে আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি তুমি ভালাে আছাে। আমি মানসিকভাবে খুব একটা ভালাে নেই। গত মাসে আমার এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে উলিপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নানারকম সমস্যা চোখে পড়ল। অথচ এটি উলিপুরের হাজার হাজার সাধারণ মানুষের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আউটডােরে বিপুলসংখ্যক রােগীর লাইন পড়ে। কিছু রােগী প্রতিদিন এখানে সেবা নিতে ভর্তিও হচ্ছে। আউটডােরে অনেক রােগী লম্বা লাইনে প্রতীক্ষার পরও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে হতাশ হয়ে। অনেকে প্রেসক্রিপশন পেলেও ওষুধ পাচ্ছে না, বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলোতে কফ, থুথু আর পানের পিকে ভর্তি। বেডের বিছানাপত্র অগােছালাে, বেডের চাদর ও বালিশগুলাে ময়লা আর নােংরায় ভরা। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পাঁচ-ছয়জন চিকিৎসক আছেন এখানে। তারাও ঠিকমতাে দায়িত্ব পালন করেন না। এখানে কোনাে জরুরি ডিউটি রুম পর্যন্ত নেই। অ্যাম্বুলেন্স সুবিধাও নেই বললেই চলে। পুরােনাে সব যন্ত্রপাতি দিয়ে কোনাে রকমে রােগীর চিকিৎসা চলছে মাত্র। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যাও কম। অপারেশনের পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় বড় ধরনের কোনাে অপারেশনও হয় না এখানে । রােগীর তুলনায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসার সরঞ্জাম এমনকি চিকিৎসাব্যবস্থাও তেমন উন্নত নয়।
যাইহােক তুমি ভালাে থেকো। তােমার এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্পর্কে আমাকে চিঠি লিখাে । তােমার মা-বাবাকে আমার সালাম দিও।
ইতি-
তােমার বন্ধু
নাজনীন ডানা
Post a Comment