SkyIsTheLimit
Bookmark

ভালাে-মন্দ সুখ দুঃখ অন্ধকার আলাে মনে হয় সব নিয়ে এ ধরণী ভালাে ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : আত্মসুখে ও আত্মতৃপ্তির মােহে মানুষ সর্বদাই সুখের প্রত্যাশী, দুঃখকে কেউ জীবনে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে চায় না। অথচ সুখ-দুঃখের সংমিশ্রণেই মানুষের জীবন পূর্ণ। দুঃখের পর আসে সুখ, সুখের পর আসে দুঃখ।
সম্প্রসারিত-ভাব : এ পৃথিবীতে একই নিয়মে অন্ধকারের অবসানে সূর্য তার অরুণ আলাের ঝরণাধারা নিয়ে আসে। কোথাও নিরবচ্ছিন্ন সুখ, কোথাও নিরবচ্ছিন্ন দুঃখ নেই। গতানুগতিকতা নয়, বৈচিত্র্যে মণ্ডিত বলেই মানুষের জীবন অশুতে, হাসিতে এত বর্ণময়। কিন্তু দারিদ্র্য, দুঃখ, বিচ্ছেদ, বেদনা, অশান্তির দহনে দগ্ধ হতে মানুষ চায় না। শুধু কি তাই, সে চায় শুধু সুখ, আনন্দ, ভােগে নিজেকে পরিপূর্ণ করতে। কিন্তু দুঃখ, বেদনাকে জীবনপট থেকে মুছে শুধু যদি কাম্যবস্তুই মানুষ পায় তবে যে তার জীবনে পূর্ণচ্ছেদ নেমে আসবে। দুঃখ আছে বলেই তার মধ্যে সুখ লাভের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, অন্ধকার আছে বলেই আলাের মর্যাদা, মন্দ আছে বলেই ভালাের চাহিদা। অসম্ভবকে সম্ভব করাতেই তাে বৈচিত্র্য। এর জন্যই সংসারে আসে কর্মপ্রেরণা, উদ্দীপনা ও অগ্রগতি। সভ্য মানুষের জীবনের সার্থকতা তাই শুধু সুখে নয়, সুখ-দুঃখের সংমিশ্রণে। দুঃখ মানুষকে ধৈর্যশীল, সংগ্রামী আর সাহসী করে তােলে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর মানুষ যখন সুখ পায় তখন সে বুঝতে পারে এর সাদই আলাদা। রবীন্দ্রনাথ এ কারণেই বলেছিলেন, “যারা আমরা বীর্যের দ্বারা না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, তাহা সম্পূর্ণ পাই না। তাই যাহাকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিনভাবে লাভ করি, হৃদয় তাহাতেই নিবিড়ভাবে প্রাপ্ত হয়।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment