সম্প্রসারিত-ভাব : জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ কোন-না- কোন কাজের মধ্যে নিয়ােজিত থাকে। আর মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হচ্ছে সে সব সময়ই সফলকাম হতে চায়। বিফলতাকে মােটেও গ্রহণ করতে চায় না। কিন্তু সফলতা এবং বিফলতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যদি কোন মানুষ বিফল না হয়, তবে সে সফলতার স্বাদ পূর্ণমাত্রায় পায় না। মানব মন খুবই আবেগপ্রবণ। তাই সামান্য আঘাতেই তা ভেঙে পড়ে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আঘাত যতই আসুক না কেন সেটাকে সহ্য করার মত মানসিকতা থাকতে হবে। তার সেই বিফলতাকে ঋণাত্মক হিসেবে না দেখে দেখতে হবে ধনাত্মকভাবে। পরবর্তীতে দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তবেই সফলতা আসবে। কাজ চালিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই হয়তবা তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, নানা বাঁধা তাকে ক্ষতবিক্ষত করবে, কিন্তু থেমে থাকলে চলবে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে। প্রত্যেকটি মানুষই স্বাধীনতাকামী। কিন্তু এ স্বাধীনতা এমনিতে আসে না, এটা অর্জন করে নিতে হয়। স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা-বিপত্তি, সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা আসে। অনেকে ব্যর্থতার গ্লানি সইতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু তাই বলে থেমে থাকলে চলবে না। নিজ সাধনা চালিয়ে যেতে হবে। যদি কারাে সাহায্য নাও আসে তবে একাই পথ চলতে হবে। পথিক যদি পথ চলতে চলতে মাঝ পথে থেমে যায়, তবে সে কখনই তার গন্তব্যে পৌছাতে পারবে। না। তাকে অবশ্যই বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাঁধা-বিপত্তি এড়িয়ে সামনে এগােতে হবে। মনে রাখতে হবে, জীবন পুষ্পশয্যা নয়, কণ্টকাকীর্ণ। জীবন পথে চলতে গিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে যে বাধা-বিপত্তি আসবে তা অতিক্রম করতে পারলেই জীবনে সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।
বিশ্ব যদি চলে যায় কাঁদিতে কাঁদিতে আমি একা বসে রব মুক্তি সমাধিতে ভাবসম্প্রসারণ
Sraboni
... min to read
Listen
মূলভাব : সফলতা এবং বিফলতা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এ দুয়ের যেটাই আগে আসুক না কেন নিজ প্রতিজ্ঞায় অটল থাকলে লক্ষ্যে পৌছানাে সম্ভব।
Post a Comment