সম্প্রসারিত ভাব: স্মরণাতীত কাল থেকে পৃথিবীতে ক্ষমতাবান ও পেশি শক্তির বলে বলীয়ান মানুষ সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষদের নানা উপায়ে বঞ্চিত করে আসছে। কখনও মনুষ্যসৃষ্ট কৃত্রিম ভূমিব্যবস্থাপনা ও বণ্টন-নীতির কারণে, আবার কখনও মুনাফালাভের অপকৌশল হিসেবে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষদের ঠকিয়ে এরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। অন্যদিকে অনেক রাষ্ট্রে স্বৈরাচারী ও একনায়ক শাসক নাগরিকদের তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকে। কিন্তু নির্যাতিত-নিগৃহীত ও পরাধীন মানুষ ক্ষমতাবান কিংবা শােষকদের লাঞ্ছনা-বঞনাকে সহজে মেনে নেয় না। অধিকার ও স্বাধীনতা লাভের জন্যে তারা সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়, কিন্তু শােষকদের রক্তচক্ষু ও অস্ত্রের ভয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের নিরুৎসাহিত ও হতােদ্যম করে তােলে। এক্ষেত্রে একজন বলিষ্ঠ নেতার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর অত্যাচারী শাসক-শােষকদের সহস্র বুলেটকেও অকার্যকর করে দিতে পারে। তার এ প্রতিবাদী সত্তা অস্ত্রবলে বলীয়ান শােষকদের শােষণের ভিতকে দুর্বল করে দেয়। তিনি প্রথমে বঞ্চিত জনগণকে অধিকার-সচেতন ও সংঘবদ্ধ করে পরে তাদেরকে অধিকার আদায়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তােলেন।
মন্তব্য: অত্যাচারী ও শশাষকশ্রেণির রক্তচক্ষু ও অস্ত্রের ভয় উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এজন্যে সাহসী তরুণদের নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করতে হবে এবং নিজের সাহস ও প্রতিবাদী সত্তার দ্বারা জনগণের আস্থাভাজন হতে হবে।
Post a Comment