সম্প্রসারিত-ভাব : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর হয়েছিলেন তথা সমাজের উন্নত শিখরে সমাসীন হয়েছিলেন পরিশ্রমের দ্বারাই। জীবনের অমৃতবাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে বিবেকানন্দকে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ঘুরতে হয়েছে। যথেষ্ট শ্রম স্বীকার করার জন্যই তিনি বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ। একথা সমান সত্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ঋষি। অরবিন্দ, মহাত্মা গান্ধী, নেপােলিয়ন, গাের্কি সকলের ক্ষেত্রেই। আত্মবিশ্বাস ও সাবলম্বন সাফল্যের মূলমন্ত্র। সংগ্রামমুখর জীবন ভাগ্য মানে না, দৈবকে ভয় পায় না। কারণ, কর্ম ও প্রচেষ্টা তার নিত্য সহচর রূপে সাহস জোগায়, পৌরুষই তার আসল শক্তি। আর এ শক্তি বলে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করে, অজেয়কে জয় করে, দুর্লভকে সুলভ করে। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, 'Man is the architect of his own fortune. মানুষ নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করে। উদ্যমী পুরুষ শুধু লক্ষ্মীকেই পান না সরস্বতীকেও লাভ করেন। আর যারা উদ্যমহীন কর্মহীন পুরুষ তারা দৈবের দোহাই পেরে পড়ে পড়ে মার খায়। সংস্কৃতে আছে,
'উদ্যোগনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ
দৈবেন দিয়মিতি কাপুরুষাঃ বদন্তি।'
সুতরাং, এ জগতের সব মানুষের সৈৗভাগ্য ইমারতের মালমসলা হচ্ছে উদ্যম, পরিশ্রম, প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম জীবনের ভাগ্যলিপি নয়।
Post a Comment