সম্প্রসারিত-ভাব : মানুষ দুটি সম্পদ জন্মসূত্রে লাভ করেছে। একটি সম্পদ হল কাজ (শ্রম) এবং অপরটি বিশ্রাম। যখন থেকে সে কাজ করার অধিকার পেয়েছে তখন স্বাভাবিকভাবেই বিশ্রাম লাভের সুবিধাও অর্জন করেছে। মানুষের ওপর ন্যস্ত হয়েছে কাজ অর্থাৎ কাজ করার জন্যেই সে নিয়ােজিত। আবার কাজের সাথে সাথে তার বিশ্রামের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। এক কথায় শ্রমের প্রয়ােজনেই বিশ্রাম গ্রহণের আবশ্যকতা। বিশ্রাম কাজ করার জন্যে প্রেরণা যোেগায়, উৎসাহ সৃষ্টি করে। যেখানে শ্রম নেই, সেখানে বিশ্রামের প্রয়ােজন নেই। যারা শ্রমজীবী নয় তাদের কাছে বিশ্রামের কোন মাধুর্য নেই এবং যারা কঠোর পরিশ্রমে নিয়ােজিত কেবল তারাই বিশ্রামের মাধুর্য উপলব্ধি করতে পারে। চোখের পাতার অপরিহার্যতা চোখের জন্যে; নচেৎ চোখের পাতাহীন চোখের কথা কেউ কি কখনও ভাবতে পারে? অতএব, চোখের স্বাভাবিকতার জন্যেই চোখের পাতার প্রয়ােজন। চোখ এবং চোখের পাতা—এ দুই প্রত্যঙ্গ যেমন অপরিহার্য-তেমনি শ্রম এবং বিশ্রাম-এ দুটিও অপরিহার্য। মানুষ একটানা কাজ করতে পারে না। যদি কেউ করে তাহলে তার স্নায়ুগুলো অবসন্ন হয়ে পড়বে। এ অবসাদ দূর করার জন্যেই বিশ্রামের প্রয়ােজন। বিশ্রাম মানব দেহের অবসাদ দূর করে, তার কর্মশক্তি ফিরিয়ে আনে। শ্রম ও বিশ্রাম একে অপরের যেমন পরিপূরক তেমনি চোখ ও চোখের পাতা একে অন্যের পরিপূরক। এর একটি অপরটি ছাড়া কল্পনাও করা যায় না।
বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সাথে গাঁথা নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা ভাবসম্প্রসারণ
Sraboni
... min to read
Listen
মূলভাব : চোখ এবং চোখের পাতা একটি অপরটির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবার, শ্রম এবং বিশ্রাম একটির সঙ্গে অপরটি সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে কল্পনা করা যায় না।
Post a Comment