সম্প্রসারিত ভাব: ধনীদের দুর্নিবার সম্পদ-ক্ষুধা কোনােদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা ক্রমাগত ধন-সঞয়ে স্ফীত হয়ে উঠতে থাকে। সমাজের দুর্বল অংশকে শােষণ করেই দিনের পর দিন তাদের ঐশ্বর্য স্ফীতকায় হয়ে উঠতে থাকে। অন্যদিকে, বিশ্বের বিত্তহীনেরা তাদের শােষণে সর্বস্বান্ত হয়ে সাজে পথের ভিক্ষুক। বিত্তবানের এই অতিরিক্ত বিত্ত সংগ্রহের প্রবণতার কারণে সমাজে দেখা দেয় চৌর্যবৃত্তি। অনিবার্য হয়ে ওঠে নানা অশান্তি, সংঘাত এবং সংগ্রাম। পৃথিবীতে যারা পর্যাপ্ত সম্পদের মালিক, যাদের ধনৈশ্বর্য অফুরন্ত, তাদের সম্পদ-তৃষ্ণা কোনােদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা যত পায়, তত চায়। বিবেকহীন, হৃদয়হীন মানুষেরা নানাভাবে সামাজিক সম্পদ অপহরণ করে দিনের পর দিন নিজেদের মােটা পেট আরাে মােটা করে চলে। ধনিকের অপরিসীম ধনতৃষ্ণা ক্রমাগত স্ফীতকায় হতে হতে একদিন দরিদ্রের সর্বশেষ সম্বল, তাদের সামান্য কানাকড়িটিও ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের সম্পদ-তৃষ্ণা কোনদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা যত পায়, তত চায়। বিবেকহীন, হৃদয়হীন মানুষেরা নানাভাবে সামাজিক সম্পদ অপহরণ করে দিনের পর দিন নিজেদের মােটা পেট আরাে মােটা করে চলে। ধনিকের অপরিসীম ধনতৃষ্ণা ক্রমাগত স্ফীতকায় হতে হতে একদিন দরিদ্রের সর্বশেষ সম্বল, তাদের সামান্য কানাকড়িটিও ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের সম্পদ-তৃষ্ণা মেটাতে বিবেকহীন হয়ে পড়ে। এভাবে পৃথিবীর দরিদ্ররা তাদের সব কিছু হারিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পথের ভিখারিতে পরিণত হয়। সামাজিক নিরাপত্তার প্রয়ােজনে ধনিকের উচিত অতিরিক্ত ধন-সংগ্রহ ও ধন-সঞ্চয় থেকে বিরত হওয়া। আজ পৃথিবীতে নবযুগ এলেও বৈষম্য কমেনি। বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের সাধনাই আজ হল শােষণ এবং সামাজিক অবিচার দূর করে সামাজিক সম্পদের ন্যায়সঙ্গত সমবণ্টনের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তির এক পরিমণ্ডল সৃষ্টি করা। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আধিক্যের গ্রাস থেকে ক্ষুদ্র ও সংক্ষিপ্ত আজও মুক্ত নয়।
মন্তব্য: ধনীর ধন যতই বাড়ুক তার প্রত্যাশা থাকে আরও ধন আয়ের অথচ গরীব-দুঃখীদের মাঝে ধন-সম্পদ বিতরণ করে না। ধনীরা গরিবদের মাঝে ধন বিতরণ করলে সমাজে সমতা রক্ষিত হবে।
Post a Comment