পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লােকাচার।
সম্প্রসারিত-ভাব : স্থবিরতা মৃত্যুর সামিল, আর চলমানতাই জীবন। প্রাগ্রসর চিন্তা-চেতনা দ্বারা জীবন সহজ ও স্বাছন্দ গতিতে প্রবাহিত হয়। আধুনিক এবং বিজ্ঞান মনস্ক জাতি দ্রুত উন্নয়নের দিকে ছুটে চলে। কিন্তু কোন কারণে যদি কোন জাতির চলার ছন্দ ব্যহত হয়, তাহলে সে জাতি তার স্বাভাবিক বিকাশ হারিয়ে বিকৃত রূপ পরিগ্রহ করে। স্রোতহীন নদীতে শৈবাল জমে যেমন পানিকে দূষিত করে, তেমনি জাতির গতিবেগ যদি থেমে যায় তাহলে জীর্ণ লােকাচার এবং নানা ধরনের কদর্যতা দ্বারা জাতি বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রত্যেক জাতিরই থাকে একটি স্বাভাবিক গতি। কোনাে জাতি যদি সেই গতিশীলতা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় জীবনে দেখা দেয় অবাঞ্ছিত জড়তা। এ জড়তা জাতীয় জীবনের প্রধান অন্তরায়। কালক্রমে এখান থেকেই নানা ধরনের বিকৃতি ও পতনের জন্ম নেয়। সঙ্গে সঙ্গে নানা দেশাচার ও লোকাচারের আবর্জনা স্তূপ সে জাতির জীবনধারাকে পঙ্গু ও নিশ্চল করে দেয়। তখনই জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দেয়। তখনই জাতির হাতে-পায়ে পড়ে বিধি-নিষেধের বেড়ি, নিষ্ঠুরভাবে বাজতে থাকে পরাধীনতার শিকল
জাতীয় জীবনকে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল করে গতিশীল জীবন প্রবাহ। যে জাতির জীবনধারা অচল সে জাতির পতন অবশ্যম্ভাবী।
1 comment