SkyIsTheLimit
Bookmark

ভাবসম্প্রসারণ দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।

মূলভাব : দশজনে মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ ও শক্তি দুই-ই আলাদা। তাতে হার ও জিতের কোন ভয় নেই। লাজ-লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই।
সম্প্রসারিত-ভাব : কথায় বলে একতাই বল। শুধু কথায় নয়, কাজেও তাই প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা যে কাজটি একা করতে লজ্জা বা ভয় পাই, সেটি যদি কয়েকজন মিলে মিশে করি, তবে আর সেখানে কোন লাজ লজ্জা, ভয় ডর থাকে না। কারণ, সেখানে হারলে সবাই হারবে, জিতলে সবাই জিতবে। এককভাবে যেমন কেউ লজ্জার ভাগী হবে না, তেমনি এককভাবে কেউ আনন্দও ভােগ করবে না। যে পরিণতি হবে তা সবার ওপরেই বর্তাবে। সুতরাং সেখানে হার, জিত নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না। তা ছাড়া একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করলে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় তেমনি শক্তিও বেশি পাওয়া যায়। ফলে অল্প আয়েশে কাজটি সুসম্পন্ন করা সম্ভব হয়। একা একা কাজ করা যায় বটে কিন্তু তাতে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ থাকে, হার-জিতের প্রশ্ন আসে। দশজনে মিলে কোন কাজ করলে আর সে প্রশ্নটি আসে না। আর তাছাড়া সব কাজ একার পক্ষে করা সব সময় সম্ভবও হয় না। যেমন, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বৃহত্তর কার্যসমূহ সম্পাদনের জন্য ঐক্যবদ্ধ শক্তি অপরিহার্য। ঐক্যবদ্ধ শক্তি ছাড়া বৃহৎ কোন কাজ সম্পন্ন করা যায় না। কাজেই সেসব কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য দশজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তাতে যদি পরাজয় আসে তাও অগৌরবের কিছু নেই। যেমন, শুধু কোন রাষ্ট্রনায়কের একক প্রচেষ্টার দ্বারা জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না। সে জন্য প্রয়ােজন বৃহত্তর শক্তি। এক কথায় নাগরিকদের সম্মিলিত শক্তি ও প্রাণপণ প্রচেষ্টা। কিন্তু যদি শত্রুপক্ষ মহাপরাক্রমশালী হয় এবং তাদের কাছে নেটিভরা হেরেই যায়। তাতেও তাদের অগৌরবের কিছু নেই বা পরাজিত হওয়ার গ্লানি নেই। কারণ, তারা সম্মিলিতভাবে বীরের মত লড়াই করে হেরেছে। বরং এতে তাদের গৌরবই দীপ্ত হয়ে উঠবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা সাধারণত সর্বত্রই বিজয়ী হয়। কদাচিৎ পরাজিত হলেও কদাচিৎ তাতে লাজ লজ্জার প্রশ্ন আসে না।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment