সম্প্রসারিত-ভাব : জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুটি অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু এ দুয়ের মাত্রা যদি দি অধিক হ হয় তাহলে বিকাশের পথ হয় উন্মুক্ত। জাতীয় জীবনে যখন কোন কাজের বাস্তবরূপের চিন্তা-ভাবনা করা হয় তার আগে নানান সমস্যা এসে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখন প্রশাসনিকভাবে বােধােদয় হয় প্রয়োজনীয়তা। তারপর সুচিন্তার প্রেক্ষিতে মানসিকভাবে জাগ্রত হয় ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা । কিভাবে কাজটি করতে হবে—এভাবে বিকাশ সাধনের বাস্তবানুগ রীতি বিষয়টি পরিদৃশ্য হয়। শুধু জাতীয় জীবনে নয়, সকল কাজের নেপথ্যে এ ব্যাপারটি লক্ষণীয় সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়ের মিলনে বিকাশ সাধিত হয়। সন্তুষ্টির জন্য আকাঙ্ক্ষা আর আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে উৎকর্ষ সাধন এটিই বাস্তবতা ও গতানুগতিক সভ্যতার ধারা বহন করে। যেহেতু পরিকল্পিত কিছুর রূপ বাস্তবক্ষেত্রে দান করতে হলে তার পেছনে কোন কারণ নিহিত থাকে। যার ফলে সন্তুষ্টির ব্যাপারটি এসে যায়। তার পাশে আসে আকাঙ্্ষা ও ইচ্ছাশক্তি। এরপর কর্মে রূপদান করা হয়। কোন কার্যসিদ্ধির ক্ষেত্রে এমনি এমনি কিছু হয় না, তার নেপথ্যে সংগত কারণ নিহিত থাকে। তারপর এটি অন্যের সাহায্য সহযােগিতা পায়। যেমন, দেশের প্রয়ােজনের তাগিদে আসে ইচ্ছা ও আকাঙ্ষা। তখন সে আকাঙ ক্ষা সন্তুষ্টির জন্য বাস্তবরূপ লাভ করে জাতীয় জীবনে বিকাশ ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা-এ দুয়ের মাত্রা বাড়াতে হবে। এ দুয়ের মাত্রা বাড়লেই জাতীয় বিকাশের পথ উন্মুক্ত হবে।
ভাবসম্প্রসারণ জাতীয় জীবনে সন্তোষ এবং আকাঙক্ষা দুয়ের মাত্রা বেড়ে গেলে বিকাশের কারণ ঘটে।
Sraboni
... min to read
Listen
মূলভাব : উৎকর্ষ সাধন ও বিকাশের নেপথ্যে চাহিদার উন্মেষ হলেই তা সম্ভব হয়। এ জন্য দরকার হয় দেশের বাস্তবিক কিছু কারণ। তার মূলে সমস্যা, সম্ভাবনা, চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা থাকলেই বিকাশের ধারা উন্মোচন হয়ে থাকে।
Post a Comment