১৫ই মার্চ, ২০১৭
প্রিয় সজল,
শুভেচ্ছা নিও। আশা করি বাসার সবাইকে নিয়ে ভালাে আছ। তােমাদের দোয়ায় আমিও ভালাে আছি। গতকাল তােমার চিঠি পেয়েছি। এভাবে মাঝে মাঝে লিখে খবরাখবর নিলে খুব ভালো লাগে।
পরীক্ষার ঝামেলা শেষ হওয়ায় আমি বিভিন্ন রকমের বই পড়েই সময় কাটাচ্ছি। সর্বশেষ পড়েছি কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় ভাঙন কাব্যগ্রন্থটি। তাঁর কবিতার রীতিনীতি সাবলীল, তাতে মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় উঠে এসেছিল বাংলার প্রকৃতি, জসীমউদ্দীনের কবিতায় লােকজ উপাদান। কিন্তু আল মাহমুদ হেঁটেছেন ভিন্ন পথে। তাঁর কবিতায় নিয়ে এসেছেন লােকজ শব্দের ব্যবহার এবং তিনি অত্যন্ত সার্থকভাবে এ কাজটি করেছেন। 'লােক- লােকান্তর থেকে সােনালী কাবিন পর্যন্ত আসার পর 'বখতিয়ারের ঘােড়ায় তার যে পরিবর্তন লক্ষ করি 'দ্বিতীয় ভাঙন-এ তারই প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে। একবার পড়লে মুগ্ধ হয়ে বার বার পড়তে ইচ্ছে হয়। উল্লেখযােগ্য কয়েকটি কবিতার নাম উল্লেখ না করলেই নয়, যেমন: দ্বিতীয় ভাঙন', 'কবিতার কথা', 'বাতাসের মুখে লাগাম ও 'হুদহুদ পাখির কৈফিয়ত'। এসব কবিতা এখন আমার কণ্ঠস্থ। অনেকদিন পর কবিতায় শিকড়ের সন্ধান পেলাম, যা না পড়লে কখনাে অনুভব করতে পারবে না। বইটি পড়া হলে আমাকেও তােমার মতামত জানিও। আমার বিশ্বাস 'দ্বিতীয় ভাঙন বইটি পড়ে তােমার ভালাে লাগবে।
আজ আর লিখছি না। ভালাে থেকো এবং চিঠির উত্তর দিও। তােমার বাবা-মাকে আমার সালাম ও ছােট ভাইকে স্নেহ দিও।
ইতি-
তােমার ভালােবাসার
সজীব
* [এখানে প্রেরক ও প্রাপকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে]
Post a Comment