সম্প্রসারিত ভাব: পার্থিব জগতের ভালাে-মন্দ সকল কাজের পেছনে রয়েছে অর্থের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অর্থ ছাড়া পৃথিবীর ভালাে-মন্দ কোনাে কাজই সম্পাদন করা সম্ভব নয়। তাই পার্থিব জীবনে অর্থই মানুষের একান্ত কাম্য বস্তু। অর্থ বা সম্পদের মােহে মানুষ জীবন সংগ্রামে লিপ্ত মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত অর্থ উপার্জনের জন্যে কঠোর পরিশ্রম করে এবং নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। কেননা বর্তমান পৃথিবীতে অর্থের মাপকাঠি দিয়েই প্রতিপত্তি ও সম্মান নির্ণীত হয়। বিপদে-আপদে, উৎসবে, জন্ম-মৃত্যুতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়ােজন। আবার এ অর্থই পৃথিবীর সমস্ত অমঙ্গলের জন্যে দায়ী। অর্থের লােভে নীতিবর্জিত হয়ে মানুষ অহরহ নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত হয়। অর্থের লালসা মানুষের নৈতিক অধঃপতন ঘটায়। অর্থের লোভেই চরিত্রহীন হয়ে মানুষ সমাজবিরােধী কাজে লিপ্ত হয়। পৃথিবীর সমস্ত দ্বন্দ্ব, অশান্তি আর সংঘাতের মূল কারণ অর্থ। অর্থসম্পদের স্বার্থেই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধের উন্মাদনা জাগে, শ্রমিক-মালিকে তৈরি হয় মত-বিরােধ এবং ভাইয়ে ভাইয়ে শুরু হয় চরম শত্রুতা। অর্থের লােভেই মানুষ-মানুষকে খুন করে । জগতের সকল অশান্তি আর অনর্থের উৎস হচ্ছে এই অর্থ।
মন্তব্য: যে অর্থ মানুষের সামগ্রিক মঙ্গল সাধনে সমর্থ, সে অর্থই আবার যাবতীয় অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অর্থ যেন অনর্থের কারণ হতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে।
Post a Comment