সম্প্রসারিত ভাব: পদ্মফুল সবার কাছে প্রিয়। হৃদয়গ্রাহী তার রং এবং দর তার আকৃতি। কিন্তু তার গায়ে রয়েছে কাঁটা। তাকে পেতে হলে অতিক্রম করা দরকার কাঁটার বাধা। ফুলের মধু চয়নকারীকে সহ্য করতে হয় কাটার আঘাত। এ আঘাতে হাত ক্ষত-বিক্ষত হওয়াও কিছু বিচিত্র নয়। তাই বলে তাকে ক্ষান্ত হলে চলবে না। যিনি এ আঘাতের কষ্টটুকু বরণ করতে প্রস্তুত, তিনিই কেবল কমল লাভ করতে পারেন। পৃথিবীতে মানুষের চলার পথ কখনােই কুসুমাস্তীর্ণ নয়; বরং কণ্টকাকীর্ণ। জীবনে সু-সমৃদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্ত এ কণ্টকাকীর্ণ দুঃখময় পথে সমস্ত প্রতিলতাকে হাসিমুখে বরণ করে অগ্রসর হওয়া। দুঃখকে বরণ করতে না শিখলে সুখ অর্জন করা সম্ভব নয়। কাঁটার আঘাতের ভয়ে কেউ পদ্মফু সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকলে, তার পক্ষে কখনােই পদ্মফুল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। ক্লান্তির, ভয়ে পথিক ভীত হয়ে পড়লে তার পক্ষে কখনও গন্তব্যে পৌছানাে সম্ভব হয় না। তাই জীবনে চলার পথের সকল প্রতিকূলতাকে তুচ্ছজ্ঞান করে দৃপ্ত সংকল্পে মানুষকে অগ্রসর হতে হয় ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে। পৃথিবীতে যারা স্মরণীয়-বরণীয় হয়েছেন, তদের প্রত্যেককেই অবিরাম দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়েছে, অতিক্রম করতে হয়েছে নানা বাধা-বিপত্তি।
মন্তব্য: পদ্মফুল লাভ করার পূর্বশর্ত যেমন পদ্ম কাঁটার আঘাত নীরবে সহ্য করা, ঠিক তেমনই জীবনে সুখ লাভের পূর্বশর্ত হচ্ছে দুঃখকে হাসিমুখে বরণ করে নিতে শেখা। জীবনে কোনাে মহৎ প্রাপ্তিই ত্যাগ- তিতিক্ষা ছাড়া অর্জিত হয় না।
Post a Comment