SkyIsTheLimit
Bookmark

ভাবসম্প্রসারণ চরিত্র জীবনের অলঙ্কার ও অমূল্য সম্পদ।”

মূলভাব : চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান। আর চরিত্র হলাে মানব জীবনের মুকুটষরূপ। যার চরিত্র নেই, তার মান মর্যাদাও নেই।
সম্প্রসারিত-ভাব : প্রত্যেক মানুষ স্বতন্ত্র চরিত্রের অধিকারী। জন্মসূত্রে মানুষ পিতা-মাতার কিছু বৈশিষ্ট্য লাভ করে। জীবনের বৃহত্তর অংশ বাইরের জগতে কাটায়। প্রাকৃতিক, পারিবারিক, আর্থ-সামাজিক ইত্যাদি বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক শক্তি ধীরে ধীরে না করলে এর নির্মলতা ও একটি বিশিষ্ট চরিত্র বিকশিত করে তােলে। চরিত্রের দ্বারা মানুষ সামাজিকভাবে চিহ্নিত হয়। এ কারণে, এর বিশুদ্ধতা বজায় রাখা একান্তভাবে প্রয়ােজন। চরিত্র জীবনের অলঙ্কারষরূপ। মূল্য দিয়ে একে পরিমাপ করা যায় না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চরিত্র এককভাবে মানুষকে উপস্থাপন করে। এটিই তার নিজস্বতা। সুতরাং চরিত্রের উৎকর্ষতা লাভ করাই হওয়া উচিত মানুষের অন্যতম সাধনা। একেবারে নি:ষ অথচ নির্মল সচ্চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তির তুলনায় ধনবান এ পৃথিবীতে আর কেউ নয়। সচ্চরিত্রবান লােকের মধ্যে উত্তম গুণাবলির সমাবেশ ঘটে তাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবােধ যেমন বেশি তেমনি মানবতাবােধও প্রবল। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সােচ্চার এবং ন্যায়ের পক্ষে দণ্ডায়মান। তাদের আদর্শ সকল প্রতিকূল অবস্থার মাঝে অটল থাকে। দ্বেষ বিদ্বেষ, লােভ-লালসা, ধন-বিলাসের মােহ তাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না। সহানুভূতি , প্রেম, ভালবাসা, আত্মসংযম, ন্যায়পরায়ণতা, সত্যনিষ্ঠা, আল্লাহ ভক্তি তাদের চরিত্রে এক বিশেষ মাত্রা দান করে। চরিত্র যেমন মানুষের অমূল্য সম্পদ, তেমনি চরিত্রবান মানুষ জাতির সম্পদ। অসৎ চরিত্রের অধিকারী মানুষ শুধু নিজেদের পতন ডেকে আনে না জাতিকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। তাই, চরিত্র কঠোর সাধনালব্ধ সম্পদ। দীর্ঘ সংযম ও আত্ম-অনুশীলনের মাধ্যমে একে গড়ে তােলা সম্ভব। চরিত্রবান ব্যক্তিরা সমাজে যুগে যুগে স্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিরূপে বেঁচে থাকেন। সে কারণে, জীবনের অমূল্য সমপদ ও অলংকার চরিত্রের বিকাশ সাধনই মানুষের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment