নীলক্ষেত, ঢাকা
প্রিয় সুজন,
আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি তুমি এখন ভালাে আছ। গত পরশু তােমার চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে জানতে পারলাম তুমি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছ। তােমাকে দেখতে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও পরীক্ষা থাকায় যেতে পারলাম না। সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সুজন, তুমি তাে জানােই আজকাল সড়ক দুর্ঘটনা কী ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে গেছে। নির্বিবাদে প্রাণ, হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে দুর্ঘটনার খবর। সড়ক দুর্ঘটনা যেন মৃত্যুদূত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের দরজায়। খারাপ রাস্তা, দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রাইভারের অভাব, গাড়ির ফিটনেসে ঘাটতি, বহন ক্ষমতার বাইরে লােক ওঠানাে, অনিয়ন্ত্রিত ওভারটেকিং প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনাগুলাে ঘটে থাকে। জনগণের কল্যাণে প্রশাসনকে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক। তবেই সড়কপথ হয়ে উঠবে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। নিশ্চিত হবে নাগরিক জীবন। তুমি নিজের প্রতি খেয়াল, রেখাে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে পথ চলাচল করাে।
তােমার আব্বা-আম্মাকে আমার সালাম এবং ছােটদের প্রীতি ও শুভাশিস দিও। তােমার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আজ আর নয়।
ইতি-
তােমার প্রীতিধন্য
সুমন
* [এখানে প্রেরক ও প্রাপকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে]
Post a Comment