সম্প্রসারিত ভাব: দেশপ্রেম মানবজীবনের অপরিহার্য উপাদান। দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। স্বদেশের উপকার ও কল্যাণের প্রতি যার দায়িত্ববােধ নেই, দেশের সমূহ অকল্যাণ দেখেও যার হৃদয় ব্যথিত হয়ে ওঠে না, সে সত্যিকার মানুষ হতে পারে না। তার এবং পশুর মধ্যে কোনােই পার্থক্য নেই। যারা নিবেদিতচিত্তে দেশকে ভালােবাসে এবং দেশ ও জাতির উপকারে আত্মােৎসর্গ করে প্রকৃতপক্ষে তারাই মানুষ, তারাই দেশপ্রেমিক। সত্যিকার দেশপ্রেমিক দেশের মাটি ও মানুষকে নিয়ে সবসময় ভাবে এবং তাদের উপকার সাধনে সে দৃঢ়সংকল্প। কিন্তু যারা আত্মকেন্দ্রিক, আত্মভাবনায় যারা সবসময় বিভাের, স্বদেশের কল্যাণ চিন্তা যাদের স্পর্শ করে না- তারা মানুষ নামের কলঙ্ক। দেশপ্রেমহীন, বিবেকবুদ্ধিবর্জিত, এ মানুষগুলাে পশুতুল্য। পশুর যেমন থাকা-খাওয়ার মতাে আত্মভাবনা ছাড়া আর কোনাে চিন্তা নেই, উপলব্ধিবােধ নেই, তারা যেমন বিবেকবর্জিত, ঠিক তেমনই হচ্ছে এ মানুষগুলােরও অবস্থা। তাই দেশপ্রেমহীন মানুষ পশুর নামান্তর।
মন্তব্য: দেশের উপকারে যিনি নিবেদিতপ্রাণ, তিনিই প্রকৃতপক্ষে মানুষ। পক্ষান্তরে দেশপ্রেমহীন আত্মকেন্দ্রিক যে, সে নিঃসন্দেহে পশুর সমান।
Post a Comment