পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যে জন, নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন
সম্প্রসারিত-ভাব : বিশ্বের সমস্ত ধর্মশাত্রে অপরের মঙ্গল কামনাকারীর প্রশস্তি কীর্তন করা হয়েছে। যারা পরের অনিষ্ট করে তারা দুষ্কৃতিকারী। নিজের অপকর্মের ফল তাদেরকে ভােগ হবে। যে অন্যায় করে সে নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী। অতএব, তার অন্তরে আত্মগ্লানিরূপ নরকানল সব সময় প্রজ্জ্বলিত থাকে। মুহূর্তের জন্যেও তার জীবনে স্বস্তি নেই। বাস্তবেও আমরা এর প্রতিফল দেখতে পাই। অনিষ্টকারীকেই পর্যাপ্ত শাস্তি ভােগ করতে হয়। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। অতএব, পরের অনিষ্ট সাধনের মত কোন গর্হিত কাজ করার চিন্তা থেকে আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যেককে রক্ষা করা উচিত। আমাদের প্রতি মুহূর্তে স্মরণ রাখতে হবে যে, অপরের অনিষ্ট চিন্তা করা মহাপাপ। যে কাজে অনে্যের অনিষ্ট ঘটবে সে কাজ করা কোন সুবিবেচক লােকের উচিত নয়। সুতরাং লােকহিতকর কর্ম সম্পাদনে আমরা আমাদের সর্বশক্তি নিয়ােগ করবাে। এ মর্মে উল্লেখ্য যে, দেখ ভাই চরাচরে, যে যেমন কর্ম করে তেমনি ফল সে তার পায়। মানব জীবনের মহৎ গুণাবলীর মধ্যে পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পরােপকারের মত মহৎ গুণের তুলনা নেই। অধিকাংশ মানুষের জীবন দুঃখ-দারিদ্র্যে পরিপূর্ণ। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানাের চেষ্টা সবার থাকা উচিত। পৃথিবীর জীবন সুখকর করে তােলার জন্য মানুষের জীবন থেকে অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে হবে। তাই আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর লোক আছে যারা অপরের কল্যাণ তাে করেই না, বরং অপরের ক্ষতিসাধনে নিয়ােজিত থাকে। কিন্তু তাদের বিপদ যে তারা নিজেরাই ডেকে আনছে তা তারা জানে না। ফলে তারা অজ্ঞাতসারে নিজেদেরই অনিষ্ট ডেকে আনে।
Post a Comment