SkyIsTheLimit
Bookmark

ভাবসম্প্রসারণ কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেউ নেই

মূলভাব : কর্তব্য পালন মানুষের জীবনের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কর্তব্যবােধ মানুষকে সত্যিকারের মানুষরূপে চিনতে সহায়তা করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে কর্তব্য করে যেতে হয়।
সম্প্রসারিত-ভাব : মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠে। সে পরিবার, সমাজ, সংঘ, রাষ্ট্র ইত্যাদি গড়ে তােলে। পারস্পরিক বােঝাপড়া ও সুখে শান্তিতে থাকার জন্য মানুষ এসব গড়ে। এসবের মধ্য দিয়ে, মানুধের প্রতি মানুষের কর্তব্য প্রকাশ পায়। যেমন—পুত্র কন্যা ও পরিবারের প্রতি পিতার, সমাজের মানুষের প্রতি সমাজপতিদের কিংবা দরিদ্রের প্রতি ধনীর। মানুষ যদি কর্তব্যচ্যুত হয় তাহলে সমাজে অবিচার অন্যায় বেড়ে যায় এবং মানুষ দুঃখের মধ্যে পড়ে। মানুষের জীবনটাই নানাবিধ কর্তব্যকর্মের জালে আবদ্ধ। এ কর্তব্যকর্মকে অস্বীকার করে সার্থক মানবজীবন আশাও করা যায় না, কল্পনাও করা যায় না। তাই মানুষ সর্বদাই কর্তব্যতাড়িত। জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সে কর্তব্য অনুভব করে। কর্তব্যের সাথে ন্যায় এবং অন্যায়ের সম্পর্ক ওতপ্রােতভাবে জড়িত। কর্তব্যের সাথে সম্পর্কিত হল ন্যায় বা ইনসাফ। এটাই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস। কর্তব্যবােধ মানুষের বিবেকের সাথে সম্পর্কিত। তাই অন্যায় এবং অকর্তব্যকে বিবেক মেনে নেয় না। বিবেকের কাছে পরাজয় হল ন্যায়ের পরাজয়, মনুষ্যত্বের পরাজয়। এ পরাজয় মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। সর্বোপরি তা মানবজীবনের ব্যর্থতা সূচিত করে। কর্তব্যের পথ কঠিন। কর্তব্য প্রেম-ভালােবাসা ও স্নেহ-বন্ধনের উর্ধ্বে। মানবিক দুর্বলতা কর্তব্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় দেখা যায় মানুষ নিজের আত্মীয়-স্বজনের অন্যায় ও অনাচারকে প্রশ্রয় দেয়। এতে সমাজের যে ক্ষতি হচ্ছে সে ব্যাপারে তার খেয়াল নেই।
তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। মানুষের কল্যাণ করা উচিত। শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য অপ্রিয় কাজও করতে হয়। কারও কর্তব্য বড়, স্নেহ প্রেম বন্ধুত্ব বড় নয়

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment