১৩ই ফেব্রুয়ারি,২০১৭
প্রিয় ঋতু,
শুভেচ্ছা নিও। আশা করি বাসার সবাইকে নিয়ে ভালাে আছ। গত পরশু তােমার লেখা চিঠিটি পেয়েছি। চিঠিতে অনেক কথার মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা লিখেছ, যে বিষয়টি আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত, যে বিষয়টি বাঙালি হিসেবে আমাদেরকে সারা বিশ্বের কাছে মর্যাদাবান করেছে, মহান ভাষা আন্দোলনের বিজয়কে করেছে গৌরবমণ্ডিত। হ্যা, আমি একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার কথাই বলছি। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামের ভিত্তিস্বরূপ । ভাষা-শহিদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই প্রকৃত অর্থে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামী আন্দোলনের সূচনা হয়। মা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা যেকোনাে জাতির কাছে পরমপ্রিয়। মাতৃভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে একটি জাতি যত দুত ও কার্যকর রূপে সভ্যতার শিখরে উঠতে পারে তা অন্য ভাষায় সম্ভব নয়। বাঙালি তার আত্মত্যাগী চরিত্রের মধ্য দিয়ে তাই মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে। বাঙালির এ আত্মত্যাগ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত হওয়ায় বাঙালির মর্যাদা বেড়ে গেছে শতগুণ। জব্বার, সালাম, বরকত এরা এখন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের মাতৃভাষার ব্যাপারে বাঙালির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করছে। এটা ভাবতেই আমার কী যে ভালাে লাগছে তা এ ক্ষুদ্র পরিসরে তােমাকে বােঝাতে পারব না।
আজ আর নয়। ভালাে থেকো। উত্তর দিও।
ইতি
তােমারই রেনু
* [এখানে প্রেরক ও প্রাপকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে]
Post a Comment