SkyIsTheLimit
Bookmark

ভাবসম্প্রসারণ অর্থই অনর্থের মূল

মূলভাব : অর্থ মানুষের সকল কর্মের চালিকাশক্তি। আবার, সে অর্থই সব রকম অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ পার্থিব জগতের যাবতীয় সহিংস কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে অর্থ। কাজেই অর্থই অনর্থের দায়সরূপ।
সম্প্রসারিত-ভাব : পৃথিবীতে সকল ভালাে-মন্দ কাজের পেছনে রয়েছে অর্থের অবদান। মানুষ তার সুখ-শান্তির জন্য অর্থের মােহ আচ্ছন্ন থাকে। অর্থ যেমন আনন্দ বয়ে আনে তেমনি আবার ডেকে আনে দুঃখের ঘনঘটা। যে সময় থেকে মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়েছে সে সময় থেকেই অর্থ মানুষের মনে দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। এ অর্থের জন্যই শ্রমিক-মালিকের মধ্যে বাধে মতােবিরােধ। ভাইয়ে ভাইয়ে দেখা দেয় চরম শত্রুতা। অর্থের লােভেই মানুষ মানুষকে খুন করে। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধের উন্মাদনা জাগে। এর লােভে মানুষ সমাজ বিরােধী কাজে লিপ্ত হয়। ফলে সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাড়ায় অর্থ। পৃথিবীর সমস্ত দ্বন্দ্ব, অশান্তি আর সংঘাতের মূল কারণ অর্থ। এ থেকে বােঝা যায়, অর্থই মানুষের একমাত্র কামনা। অর্থ বা সম্পদের মােহে মানুষ জীবন সংগ্রামে লিপ্ত। মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত অর্থ উপার্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে এবং নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। পৃথিবীতে অর্থই মানুষের একান্ত কাম্য। কেননা, বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র অর্থের মাপকাঠি দিয়েই প্রতিপত্তি ও সম্মান নির্ণীত হয়। বিপদে-আপদে, উৎসবে, জন্ম-মৃত্যুতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থের - প্রয়ােজন। কিন্তু এ অর্থই সমস্ত অমঙ্গলের জন্য দায়ী। অর্থের লােভে মানুষ তার নীতি বিসর্জন দিয়ে নানা কু-কর্মে লিপ্ত হয়। অর্থের জন্যই মানুষ নিজের আত্মীয়কে বিক্রি করে দেয় অন্যের কাছে। অর্থ এমনই এক নেশা, এ নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে মানুষ আর মানুষ থাকে না। পশুর চেয়েও অধম বলে আখ্যায়িত হয়। কাজেই অর্থই সকল অনর্থের মূল। দুঃখের সময় অর্থ যেমন শান্তি নিয়ে আসে তেমনি অতি সুখের ঘরে অর্থই ডেকে আনে অশান্তি। কেড়ে নেয় সুখ। তাই অর্থ যেন অনর্থের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য আমাদের হতে হবে বিবেক সচেতন।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment