SkyIsTheLimit
Bookmark

অনুচ্ছেদ রচনা তথ্যপ্রযুক্তি

বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির সময়। বিজ্ঞানের অব্যাহত জয়যাত্রার সঙ্গী হয়ে আমরা একুশ শতকে পা রেখেছি। এই অগ্রযাত্রায় অন্যতম প্রধান সহায়ক শক্তি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি (Information Technology)। আজ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া প্রায় অচল। তথ্য কথাটি নানান অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন যথার্থতা, সত্যতা, প্রকৃত অবস্থা, তত্ত্ব, সত্য ইত্যাদি। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তির আলোচনায় বলা যেতে পারে, তথ্য হলাে বিজ্ঞানের জ্ঞান আর প্রযুক্তি হচ্ছে সে জ্ঞানের প্রায়ােগিক দিকসমূহ। অর্থাৎ তথ্যের প্রয়ােগ, সংরক্ষণ ও প্রচারের কৌশলকে তথ্যপ্রযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রযুক্তিবিদ্যারও ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হচ্ছে মােবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রা ও এর ব্যবহার আমাদের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও গতিময়। স্থানিক দূরত্ব ঘুচিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সামনে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার উন্মােচন করে দিচ্ছে। মৌলিক চাহিদা পূরণ থেকে শুরু করে জীবনমানের আরও আধুনিকায়নে তথ্যপ্রযুক্তি নিরন্তর অবদান রেখে চলেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট তথ্যের আদান প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সুফল বয়ে আনছে, পীড়িত মানুষের মুখে স্বস্তির হাসি ফোটাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই যুগে বাংলাদেশও এ বিষয়ে পিছিয়ে নেই। জনসাধারণ তাদের প্রাত্যহিক জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির নানাবিধ সুফল ইতােমধ্যে ভােগ করছে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমী করে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এমন ইতিবাচক চর্চা ও ব্যবহার অব্যাহত রাখা বাঞ্ছনীয়। তাহলেই তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে আমরা গড়তে পারব সমৃদ্ধ এক নতুন আগামী।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment