বা জাতীয় বৃক্ষরােপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা
ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বে আজ পরিবেশ সচেতনতা বেড়েছে। জীব বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সারা বিশ্ব এখন অধিক নজর দিচ্ছে। বন ধ্বংসের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদরাজী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ২৬মে ২০০০ইং তারিখে নাইরোেবিতে 1. অনুষ্ঠিত Conference of Parites-এর জীব বৈচিত্র্য সংক্রান্ত সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, জীব বৈচিত্র্য ফসল উৎপাদনের সবুজ বিপ্লবের চেয়েও বড় বিপ্লব আনতে পারে। পৃথিবীর প্রায় ৩৪০০০ উদ্ভিদ, ৫২০০ প্রাণীর অনেকগুলো আজ হুমকির সম্মুখীন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরণের উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি একান্ত প্রয়ােজন। বাংলাদেশ বন বিভাগ সৃষ্টির শুরু থেকে দারিদ্র বিমােচন ও পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ঝুমিয়া পুনর্বাসন : আমাদের পাবর্ত্য জেলাসমূহের উপজাতীয় পাহাড়ী জনগণ ঝম চাষে অভ্যস্ত। সাম্প্রতিককালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ঝুম চাষের জন্য জমির প্রাপ্যতা হ্রাস পেয়েছে। অত্যধিক ঝম চাষের ফলে পার্বত্য জেলাসমূহের প্রকৃতি ও পরিবেশ তথা সেখানে বসবাসকারী জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় পাবত্য উপজাতায় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বন বিভাগ পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ৩টি জেলার ঝুমিয়া পরিবারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চল পুনঃবনীকরণ ও ঝুমিয়া পুনর্বাসন প্রকল্প ১ম পর্যায় (১৯৭৯-৯০), ২য় পর্যায় (১৯৯০-৯৫) এবং ৩য় পর্যায় (১৯৯৫-২০০০) গ্রহণ করে। উল্লিখিত প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে বন বিভাগ এ পর্যন্ত ৩৬৮০টি ঝুমিয়া পরিবারকে পুনর্বাসন করে অর্থনৈতিভাবে স্বাবলম্বী করার কাজে সহযােগিতা করেছে। তাছাড়া উক্ত এলাকার জনসাধারণের মাধ্যমে ১১০৬০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়েছে।
ম্যানগ্রোভ বন বাগান : বন বিভাগ উপকূলীয় এলাকায় জেগে উঠা চরাঞ্চলের মানুষের কল্যাণ সাধনের প্রয়াসে ১৯৬০ দশকের প্রথম দিক থেকেই বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। চরভূমির স্থায়িত্ব ও পরিবেশ উন্নয়নে এ বনায়ন কার্যক্রম উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রাখছে। বন বিভাগ কর্তৃক সৃষ্ট এ বন উপকূলীয় এলাকার জনগণকে ঝড় ও জলােচ্ছাসের কবল থেকে রক্ষা করছে। এ যাবৎ বন বিভাগ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন-কোস্টাল এফরেস্টেশন প্রকল্প, ম্যানগ্রোভ এফরেস্টেশন প্রকল্প, ২য় বন প্রকল্প ফরেস্ট রিসাের্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ১,৩৪,৭০০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করেছে।
বন সম্প্রসারণ কর্মসূচি : দেশের পতিত ও প্রান্তিক জায়গায় জনগণের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১৬০ সন থেকে বন বিভাগ বন সম্প্রসারণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। উক্ত কর্মসূচির আওতায় তদানীন্তন জেলা সদরে স্থাপিত নার্সারীগুলােতে চারা উৎপাদন করে জনসাধারণের মধ্যে সে চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ১৯৭২ সনে ঢাকার সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বপ্রথম জাতীয়ভাবে বৃক্ষরােপণ অভিযান উদযাপন করা হয়। উক্ত প্রকল্পের আওতায় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে সড়কের পার্শ্বে ৭৫৫ মাইল , রেল পথের পার্শ্বে ৯০ মাইল, কাউন্সিল রােডের পার্শ্বে ২২৬ মাইল, বাধের ধারে ৪৭ মাইল এবং ৩১৮০টি গ্রাম বনায়ন করা হয়। এছাড়া জনসাধারণের মধ্যে চারা বিতরণের জন্য ২০টি নতুন নাসারী স্থাপন করা হয়, যার মাধ্যমে ৪.৯০ কোটি চারা বিতরণ করা হয়।
বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ : বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসায় বন বিভাগের কার্যক্রম বিশেষত বন সম্প্রসারণ কর্মসূচিগুলাে আরও গতিশীলতা লাভ করে। জনসাধারণকে আরও অধিক মাত্রায় বন বিভাগের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। নিম্নে বর্তমান সরকারের আমলে বন বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বন সম্প্রসারণ ও সামাজিক বনায়ন কর্মসৃচিগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল।
উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প : উপকূলীয় এলাকার ১২টি জেলায় জনসাধারণের জানমালের হেফাজত, আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যে বন বিভাগ কর্তৃক উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প (১৯৯৫-২০০২) নামে একটি সামাজিক বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় ১২টি জেলায় জনসাধারণকে সামুদ্রিক জলােচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করার জন্য সবুজ বেষ্টনী গড়ে তােলার পরিকল্পনা করা হয়।
ফরেস্ট্রি সেক্টর প্রকল্প : বন উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনসাধারণের দারিদ্র্য বিমােচনের লক্ষ্যে ইতােপূর্বে বাস্তবায়িত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী বাস্তবায়নের জন্য ৭ বছর মেয়াদি (১৯৯৭-২০০৪) ফরেস্ট্রি সেক্টর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ ও
-জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বনজ সম্পদের সৃষ্টি ও উন্নয়ন।
-বন সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্থিতিশীল বন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। এ প্রকল্পের আওতায় সর্বমােট ২০.৭৮ হাজার উডলট বাগান, ১১.৯ হাজার হেক্টর কৃষি বন বাগান, ২৫ হাজার কি. মি. স্ট্রীপ বাগান, ৭.০ হাজার হেক্টর চর বনায়ন করা হবে।
গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি: দেশের বন ও বনজ সম্পদ বৃদ্ধি, দারিদ্র্য-বিমােচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বন বিভাগ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় এনজিও দ্বারা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সারা দেশব্যাপী খাদ্যের বিনিময়ে বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
বৃক্ষরােপণ অভিযান, বৃক্ষমেলা: জনসাধারণের দারিদ্র্য-বিমােচন, আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃক্ষরােপণ ও বনায়ন কর্মসূচিকে জোরদার করার জন্য বন বিভাগ প্রতি বছর জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে বৃক্ষরােপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার আয়ােজন করে বন বিভাগ প্রতি বছর জাতীয় কলাকৌশল, চারার সুবিধা প্রাপ্তি সহ নানাবিধ দিক সম্পর্কে জানাতে পারে। বৃক্ষরােপণ আন্দোলনকে স্বতঃস্ফূর্ত, গতিশীল ও প্রতিযােগিতামূলক করার জন্য বন বিভাগের উদ্যোগেবৃক্ষরােপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে।
জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ : পরিবেশ উন্নয়নে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন হলাে জীব বৈচিত্র্যের আধার এবং পরিবেশের উন্নয়নে জীব বৈচিত্র্যের গুরুত্ব অপরিসীম। জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, অনিয়ন্ত্রিত কৰ্তন এবং অন্যান্য অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশের বনাঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায়। আসার পর জনগণমুখী বন সম্প্রসারণ কর্মসূচি গ্রহণ করার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারােপ করেছেন। দেশের প্রাকৃতিক সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বৃক্ষ কর্তন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ অধিকহারে রােপণের ব্যাপারে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বন বিভাগ কর্তৃক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে গৃহীত কার্যক্রমগুলাে নিম্নরূপ:
সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান : বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সনের ৬ই ডিসেম্বর ইউনেস্কোর ওয়াল্ডহেরিটেজ কমিটির সভায় সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘােষণা করা হয়েছে।
বােটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্ক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ই জানুয়ারি ২০০১ তারিখ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু এলাকায় ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ মন্দিরের পাদদেশে দেশের প্রথম বােটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্ক উদ্বোধন করেন। জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজমে এটা বর্তমান সরকারের একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। এতে দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছড়া লালনপালন করে শক্তিশালী জিনপুল (Gene poll) সৃষ্টি করাসহ বনায়ন, পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া প্রাকৃতিক শােভামণ্ডিত চিত্তবিনােদন কেন্দ্র হিসেবে ইকোরটুরিজম এবং গবেষণা ও শিক্ষা সুযােগ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।
মাধবকুণ্ড ও মুরাইছড়া ইকো-পার্ক : ঐতিহাসিক মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এবং কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া একোয়ার্ড ফরেস্টের লাঠিটিলার পাদদেশে মুরাইছড়া জলপ্রপাতকে নিয়ে গঠিত। এ মাধবকুণ্ড ও-মুরাইছড়া ইকো পার্ক ১৫ এপ্রিল ২০০১ তারিখে মাননীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মাধবকুণ্ড ও মুরাইছড়া জলপ্রপাতের অপরপ দৃশ্যাবলি, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, বিচিত্র বন্য প্রাণী ও পাখি সংরক্ষণের পাশাপাশি চিত্ত বিনােদনের ক্ষেত্রে এটা এক নব দিগন্তের সৃষ্টি করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক : বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় বন্য পশু পাখি সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার দুলাহাজরায় ১৯৯৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ পার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসাধারণের চিত্তবিনােদনের যেমন সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে তেমনি শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে এক সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।
সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন : সামাজিক বনায়নের আওতায় এ পর্যন্ত দেশের ৮.০২ লক্ষ দরিদ্র ও দুঃস্থ পরিবারকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
দারিদ্র-বিমােচন ও পরিবেশ উন্নয়ন : বৃক্ষ তথা বন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির বড় সহায়ক শক্তি। আমাদের দেশে বনায়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। চারা উত্তোলন, চারা রােপণ, সৃজিত বাগানের পরিচর্যা প্রভৃতি কাজে বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এক হিসেবে দেখা গেছে ২৫-১৫ সেন্টিমিটার পলিব্যাগে ১০০০টি চারা উত্তোলনে বেড তৈরি, মাটির সাথে সার মিশানাে, মাটি দিয়ে পলি ব্যাগ ভর্তি, পলিব্যাগে বীজ দেওয়া, চারায় পানি সিঞ্চন, আগাছা বাছাই ইত্যাদি কাজে ২৩ জন দিন মজুরের প্রয়ােজন হয়। অনুরূপভাবে ১ কিলােমিটার সংযােগ সড়ক ও বাগান সৃজনে ৭৫ জন দিনমজুর, ১ কিলােমিটার সড়ক ও জনপথ বাগানে ১২৫ জন দিনমজুর এবং এক কিলােমিটার বাঁধ বাগান সৃজনে ১৫০ জন দিনমজুরের কর্মসংস্থান হয়। ১৯৮১ সন থেকে বাস্তবায়িত বিভিন্ন সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সৃজিত সম্পদে জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উপর বিভিন্ন গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে দেখা যায় যে, সামাজিক বনায়নের ফলে দেশে বনজ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ধছরপ্রতি ৮,০০০ জনের।
উপসংহার : জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র-বিমােচন ও পরিবেশ উন্নয়নে বন বিভাগ সরকারি সংস্থা হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় বন নীতির ঘােষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের মধ্যে দেশের শতকরা ২০ ভাগ এলাকা বৃক্ষাচ্ছাদন করার জন্য বন বিভাগের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। সর্বস্তরের জনগণ, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দেশকে বন বনানীতে সমৃদ্ধ করত আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন সম্ভব। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি আবাসযােগ্য ও উন্নত পরিবেশ সমৃদ্ধ দেশ উপহার রেখে বেতে হলে বিষয়টি এখনই ভেবে দেখা প্রয়ােজন।
Post a Comment