টেলিভিশন একটি বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। পল নেপকো নামে এক জার্মান বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম টেলিভিশন আবিষ্কারের সম্ভাবনার পক্ষে তার মতামত প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯২১ সালে জোহান বেয়ার্ড নামে এক ইংরেজ বিজ্ঞানী টেলিভিশন আবিষ্কারে করেন। একই সাথে ছবি দেখা এবং শব্দ শােনার এক অভিনব যন্ত্র। এটা আমাদেরকে শুধু বিনােদনই দেয় না, শিক্ষাও প্রদান করে। চলচিত্র, নাটক, ম্যাগাজিন, অনুষ্ঠান দেখে ও গানবাজনা প্রভৃতি শুনে আমরা অনেক বিনােদন লাভ করি। খবরাখবর শুনে এবং গণসচেতনমূলক অনুষ্ঠান দেখে আমরা আমাদের অজ্ঞতা দূর করতে পারি। টেলিভিশন দেখে আমরা আমাদের মন ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারি। এই বিস্ময়কর যন্ত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে আমরা জাতীয় ও বৈশ্বিক সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। বস্তুত, এটা আমাদের অনেক কাজে আসে। কিন্তু এটা অবিমিশ্র আশীর্বাদের নয়। এটা মাঝে মাঝে অশ্লীল ও নগ্ন অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে এবং এগুলাে তরুণ প্রজন্মের মনমানসিকতা প্রভাবিত করে। টেলিভিশনের পর্দায় নগ্নতা ও অশ্লীলতা দেখে তারা গােল্লায় যেতে পারে। অতএব আমাদের সার্বিক কল্যাণের জন্য শুধুমাত্র গঠনমূলক অনুষ্ঠানগুলােই প্রচার করা উচিত।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment