ভূমিকম্প পৃথিবীতে আঘাত হানা অন্যতম পরিচিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটা হলাে ভূ-পূষ্ঠের আকস্মিক ও প্রচণ্ড কম্পন। এটা বিভিন্ন কারণে সংঘটিত হয়। প্রধানত পুথিবীর অভ্যন্তরভাগে বড় ফাটল অথবা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাতের ফলে এটা সংঘটিত হয়। নিকটস্থ আগ্নেয়গিরির লাভা নিঃসরণকালে তীব্র ঝাকুনির ফলে ভূমিকম্প ঘটে। অধিকন্তু কোন ভৌগােলিক এলাকায় ভাজ সৃষ্টি হলে ঐ এলাকায় ভূমিকম্প ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ গ্যাস বের হওয়ার চেষ্টার দরুণ ভূমিকম্প ঘটে। বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে কিছুদিন পর পর ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এর ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন নয়। বাংলাদেশে ঘন ঘন ভূমিকম্প হওয়ায় সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে অধিক মনােযােগ দিচ্ছেন। অধিকাংশ শহরের অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্প প্রতিরােধী মানের না হওয়ায় বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটলে সেগুলাে ধ্বংস হয়ে যাবে। এক দল বিশেষজ্ঞ মত প্রকাশ করেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ভূমিকম্প হওয়ার ঘটনা একটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। অন্য আর একদল বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, আশংকা করার কোনাে ব্যাপার নেই কারণ বাংলাদেশের ভৌগােলিক এলাকায় কয়েকটি ভাজ থাকলেও এর কোনােটিই মারাত্মক ক্ষতি করবে এমন শক্তিশালী বা সক্রিয় নয়। তারপরেও কোনাে দলই একটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের সমূহ ভয়াবহতা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাই এমন একটি আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্যে অবশ্যই আমাদেরকে ভূমিকম্পের কারণ ও পরিনাম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শে না নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা উচিত নয় যাতে ভূমিকম্পের সময়ও সেগুলাে টিকে থাকতে পারে। সর্বোপরি সরকারের ভূমিকম্প প্রতিরােধী ভবন নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত যা সকল ভবন মালিক বাধ্যতামূলক অনুসরণ করবে। তাহলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমানাে যেতে পারে।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
1 comment