সংস্কৃতি বলতে বােঝায় কোনাে নির্দিষ্ট দেশ বা গাোেষ্ঠির প্রথা ও বিশ্বাস, শিল্প, জীবনধারা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ভাষা, সঙ্গাতি, ভালােমন্দের ধারণা, কাজকর্ম ও খেলাধুলার পদ্ধতি, কোনা সমাজে মানুষজনের তৈরি ও ব্যবহৃত উপকরণ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ইত্যাদি সংস্কৃতির উপাদান। সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি সমাজের পরিপূর্ণ চিত্র ফুটে ওঠে। আচরণ ও কাজকর্মের ধরণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে, শ্রেণি থেকে শ্রেণিতে, সমাজ থেকে সমাজে এবং এক দেশ থেকে অন্যদেশে ভিন্ন হয়। এই ভিন্নতাকে বলে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা। ধরা যাক এক সংস্কৃতিতে যেটা আচরণের যথাযথ পদ্ধতি সেটা অন্য সংস্কৃতিতে অযথার্থ বা এমনকি অমার্জিতও প্রতীয়মান হতে পারে। উদাহরণম্বরূপ, কথা বলার সময় কাছাকাছি দাঁড়ানা কোনাে এশীয় দেশে বন্ধুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয় তবে পশ্চিমা দেশে আলাপচারিতার সময় খুব কাছাকাছি থাকাটা অযথার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলতে বােঝায় স্থানীয় সংস্কৃতির ওপর বিদেশি বা বাইরের সংস্কৃতির খারাপ প্রভাব। উচ্চপ্রযুক্তির প্রচার মাধ্যমের বিকাশের সাথে সাথে পশ্চিমা সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতির মধ্যে অনুপ্রবেশ কর। অন্য দেশের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। যাহােক, ভিনদেশি সংস্কৃতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের উচিত আমাদের সংস্কৃতির চর্চা এবং আমাদের সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো সমৃদ্ধ করতে অনেক বেশি দৃঢ়প্রত্যয়ী হওয়া।
Related Posts
লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment